বিশ্বসুন্দরী থেকে সফল সিঙ্গেল মাদার! হ্যাঁ ইনি আর কেউ না বঙ্গতনয়া সুস্মিতা সেন। সুস্মিতা সেনের বয়স যখন ২৪ তখনই অভিনেত্রী সুস্মিতা এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অবিবাহিত অবস্থায় ২১বছর আগে সুস্মিতা সেন দত্তক নিয়েছিলেন বড় মেয়ে রেনেকে। এরপর ২০১০ সালে তিন বছর বয়সী আলিশাকে দত্তক নিয়েছিলেন। দুই মেয়েকেই পড়াশুনা শিখিয়ে আত্মনির্ভরশীল করেছেন। দুই মেয়ে অভিনেত্রীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতম অংশ।
বড় মেয়েকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করাই এখন সুস্মিতার লক্ষ্য। আর ছোট মেয়েকেও ভালোবাসায় ভরিয়ে রেখেছেন অভিনেত্রী। রক্তের সম্পর্ক কি সব হৃদয়ের সম্পকে এই তিন জন একই সূত্রে বাঁধা।কাজ, ফিটনেস, মডেলিং, প্রেমের সম্পর্কের মাঝেও দুই মেয়েকে সমানভাবে সময় দেন বিশ্বসুন্দরী। তিনি যত বড় সেলিব্রেটি হোক নিজের মেয়েদের চুল বাঁধা থেকে খাওয়া দাওয়া সবই নিজের হাতে সামলান।সুস্মিতা সেন বরাবরই পরিবারকে নিয়ে থাকতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। নিজের সন্তানদের সময় দেওয়ার পাশাপাশি মা-বাবা এবং ভাই রাজীব ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই সময় কাটান।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now
তিনি তো মিস ইউনিভার্সের মুকুট জয় করেছিলেন বহু বছর আগেই। তবে তাঁর কাছে কমস ইউনিভার্স হলেন দুই মেয়ে। আজ তাঁর ছোট ইউনিভার্সের জন্মদিন। দেখতে দেখতে ১২ বছরে পা দিল অভিনেত্রীর মেয়ে আলিশা। আর তাই ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন নায়িকা। পুরো ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে খুদে আলিশা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। মেয়ের বড় হয়ে ওঠার সমস্ত মুহূর্তকেই ফ্রেমবন্দি করে রেখেছিলেন তিনি। এই ভিডিও শেয়ার করে সুস্মিতা একটি দীর্ঘ নোটও লিখেছেন।
ক্যাপশান স্বরূপ সেই জন্মদিনের নোটে তিনি লিখেছেন,” শুভ ১২তম জন্মদিন আলিশা। ভগবানের দেওয়া সবচেয়ে দামী উপহার এবং আমার জীবনের ভালোবাসা হলে তুমি। হ্যাপি বার্থডে আমার সোনা মা। ধন্যবাদ জন্মানোর জন্য, তুমি এই পৃথিবীকে একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করেছো। সব মুহূর্ত খুব ভালোভাবেই কাটছে তোমার জন্য। আমি তোমার জন্য খুব গর্ব বোধ করি”। বড় মেয়ের
রেনের সম্বন্ধেও কিছু কথা লিখেছেন তিনি। বলেছেন,”কনগ্রাচুলেশনস রেনে তুমিও দিদি হিসাবে ১২ বছর পার করলে। কী সুন্দর ম্যাজিকাল যাত্রাপথ”। আরও জানান, তাঁরা সবাই খুব ভালোবাসে আলিশাকে। ভগবান আলিশাকে আশীর্বাদ করুক, ভালোবাসায় ভরিয়ে দিক”।