“যদি যেতে না চাও জেলে, এসো আমার দলে”, দল বদলকারীদের উদ্দেশ্যে টিপ্পনী সুখেন্দু শেখরের

অন্যদিকে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) বলেছেন," সাগরের থেকে এক ঘটি জল তুলে নিলে জল কমে না।"

Advertisement

Advertisement

বিধানসভা ভোটের আগে দলবদল নিয়ে বর্তমানে সরগরম বাংলার রাজনীতি। বিরোধী দল বিজেপি প্রতিদিন দাবি করছে তৃণমূল ভেঙে চলেছে। এমনকি বাংলায় তারাই নাকি আগামী বছরের ২০০ এর বেশি আসন নিয়ে আসতে চলেছেন সেরকম কথা শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের মুখে। কিন্তু বিজেপির এই দাবিকে দিবাস্বপ্ন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকে। তার পাশাপাশি যারা দলবদল করছেন তাদের নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাতে রাজি নয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের দাবি, কিছু নেতারা যদি দল ত্যাগ করেন তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসবে না। কর্মী সমর্থকরা সবাই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন।

Advertisement

বাংলায় এখন বিধানসভা ভোটের উত্তাপ একেবারে চরমে। ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এখানে এসে করে গিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন (Sudip Jain)।ফলে পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছেন লাল, সবুজ, গেরুয়া সমস্ত দল। পুরোদস্তুর ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মিটিং, মিছিল থেকে শুরু করে পথসভা সবকিছুতে বর্তমানে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পালা চলছে। তার সঙ্গেই বর্তমানে সবথেকে ট্রেন্ডিং টপিক’ দলবদল। এই কয়েকদিনের মধ্যেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা নিজের দল পাল্টে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। যদিও এই দলবদল কে কোনরকম গুরুত্ব দিচ্ছে না শাসক শিবির। অন্যদিকে পদ্ম শিবিরের দাবি, আরো অনেক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে আসতে চলেছেন। এই দাবিকে একেবারে নস্যাৎ করে তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছে, যদি নেতা যায় যাক, তৃণমূল কর্মী রা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। নেতা গেলেও মমতা ব্যানার্জির সাথে সমস্ত কর্মীরা থাকবেন। এদিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) বলেছেন, ‘ কে থাকবেন, কে যাবেন, নির্বাচনের তিনমাস আগে এটা কোন বড় কথা নয়। দল থাকবে, নেত্রী থাকবেন। আমাদের সমস্ত সমর্থক বাংলার মানুষ থাকবেন।” এছাড়াও তিনি দল বদল কারীদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করলেন,” সাগর থেকে দু ঘটি জল তুলে নিলে জল কমে যায় না।”

Advertisement

প্রায় একই রকম মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। তার বার্তা,” আস্তাবলের বাতিল ঘোড়ারা অন্য দলে যাচ্ছেন। অনেকে আবার অন্য দল থেকে ফিরে আসছেন। সকালে যাচ্ছেন, বিকেলে ফিরে আসছেন। আগমন প্রত্যাগমন চলছে। তবে ভোটের আগে নেতাদের এজেন্সির ভয় দেখানো হচ্ছে।” সুখেন্দু শেখর বাবু ছড়া কেটে বলেছেন,” যদি যেতে না চাও জেলে, এসো আমার দলে।’ বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে গিয়ে ঢুকলে সমস্ত ময়লা সাফ হয়ে যাচ্ছে। এরকম মন্তব্য করে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন শুখেন্দু শেখর রায়। পাশাপাশি, বাংলার উন্নয়ন কে হাতিয়ার করে ভোট যুদ্ধে নেমে পড়েছে তৃণমূল। বিজেপি সরকার দেশের মানুষকে ভাওতা দিচ্ছে বলেও তৃণমূলের দাবি।

Advertisement