নিউজরাজ্য

৩-৪ দিন জল ছাড়া বন্ধ রাখুন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথার পরে ডিভিসিকে কড়া চিঠি নবান্নের

নিয়ম অনুযায়ী জল ছাড়া হয়েছে, দাবি দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের

Advertisement
Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ রূপে মানুষের তৈরি করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আগেই এই বন্যা পরিস্থিতিকে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের ছেড়ে দেওয়া জলের ফলে তৈরি হওয়া বন্যা হিসেবে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই জাতীয় এবং রাজ্য রাজনীতি চরমে উঠেছে এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে। এবারে সরাসরি দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন কে কড়া চিঠি দিল রাজ্য সেচ দপ্তর। রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এদিন দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন এর উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে জানালেন, “জল ছাড়া টা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অনেক জল ছাড়ছেন। ৩-৪ দিন জল ছাড়া বন্ধ রাখুন।”

Advertisement
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করার পরেই দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন এর দিকেই আঙ্গুল তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা প্রায় বানভাসি হয়ে গিয়েছে। হুগলির খানাকুল থেকে শুরু করে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, এমনকি হাওড়া উদয়নারায়নপুর সব জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি। এদিন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন এতটাই খারাপ অবস্থা, যে সেখানে দাঁড়ানো পর্যন্ত যাচ্ছে না।

Advertisement

কলকাতায় ফিরে তিনি সরাসরি তোপ দাগলেন দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন এর দিকে। তিনি বললেন, “এটা বৃস্টির বন্যা নয়। এটা জল ছাড়ার বন্যা। এটা man-made ফ্লাড। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন ইচ্ছে মতো জল ছাড়তে শুরু করেছে। এটা কেন্দ্রের খাল সংস্কার না করার ফল। এখনো বাজ পড়ছে। আগামী দু-তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। আপনারা সাবধানে থাকুন। আমি খানাকুলে যাবো ভেবেছিলাম কিন্তু অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, অগত্যা আমাকে ফিরতে হল। প্রশাসনিক আধিকারিকরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন।”

Advertisement
Advertisement

তবে, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন নিজেদের দোষ মানতে নারাজ। তাদের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, নিয়ম মেনে জল ছাড়া হচ্ছে। কিন্তু, পরিসংখ্যান বলছে, এদিন পাঞ্চেত ব্যারাজ থেকে ২০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এছাড়াও ডিভিসি কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাধ মাইথন থেকেও জল ছেড়েছে। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, ” দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন যখন জল ছাড়ে তখন সেই জল যখন দুর্গাপুর ব্যারেজে এসে পৌঁছায়, তখন তার পরিমাণ হয়ে যায় ৬৫ কিউসেক। এই পরিস্থিতিতে এমনিতেই উপচে পড়া নদীগুলিতে এক ধাক্কায় ৬৫ কিউসেক জল এসে পড়ে। এর ফলে জায়গায় জায়গায় প্লাবন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button