তৃণমূলে চালু হল ‘এক ব্যক্তি এক পদ নীতি’, বৈঠকে ঘোষণা মমতার

মদন মিত্রকে মুখ্যমন্ত্রী তিরস্কার করলেন তার ফেসবুক লাইভ এর জন্য

Advertisement

Advertisement

পরিকল্পনা মতোই হলো কাজ। বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রথম সবথেকে বড় সাংগঠনিক কমিটির বৈঠকে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে একেবারে ঢেলে সাজানোর জন্য বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন তিনি। তার পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বকে নিজেদের চালচলন এবং কথাবার্তার উপর নজর দিতেও বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

তৃণমূল ভবনে আজ প্রথমে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হলো। তারপর বৈঠক হলো সাংসদ, বিধায়ক, জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি সাংগঠনিক লেভেলে। সেই বৈঠকে একাধিক রদবদলের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিলেন এবার থেকে তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু হবে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি জেলা সভাপতি হন তাহলে তিনি আর মন্ত্রী থাকতে পারবেন না। অথবা মন্ত্রী হলে জেলা সভাপতি থাকা যাবে না। এক মাসের মধ্যেই জেলা এবং ব্লক স্তরে এই রদবদল করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisement

তৃণমূলের কোন জনপ্রতিনিধি এবার থেকে লাল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি সেরকম কিছু হয় তাহলে দলীয় তরফে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের জন্য কোন জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। জেলার বিধায়কের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হবে না বলেও জানালেন তিনি।

Advertisement

তার সঙ্গেই, সাংসদ, বিধায়ক এবং জেলা সভাপতিদের নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সরাসরি নিশানা ছিল এমন নেতাদের যারা ফেসবুকে অথবা টুইটারে অত্যন্ত অ্যাক্টিভ। সরাসরি তিনি মদন মিত্রকে ফেসবুক লাইভ করার জন্য তিরস্কার করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এরকম ভাবে ফেসবুক লাইভ করা যাবে না। এছাড়াও অন্য নেতাদের নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে যা খুশি লিখে দেওয়া এবারে বন্ধ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।