নাইট কারফিউ না মানলেই কড়া জরিমানা, নয়া ফরমান জারি রাজ্য সরকারের

করোনাভাইরাস রুখতে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে এবারের রাজ্য

Advertisement

Advertisement

এবারে নাইট কারফিউ নিয়ে করাকরি পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়ে দিলেন এবার থেকে যদি রাত্রির নটার পড়ে কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হন তাহলে তাকে মোটা টাকার জরিমানা করা হবে। যদি এই নিয়ম কেউ ভাঙতে চান তাহলে জেলা প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে আদেশ করেছেন মুখ্য সচিব।

Advertisement

ইতিমধ্যেই করণা সংক্রমন কমানোর জন্য রাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাস বিধি কার্যকর রয়েছে। এমনিতে এখন সকাল বেলা কিছুটা চাপ কমানো হলেও রাত্রিবেলা কিন্তু নাইট কারফিউ এখনো পর্যন্ত চলছে। রাত্রি নটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এই নাইট কারফিউ এর সময়। এই কারফিউ চলাকালীন সময়ে যদি কোন দরকারি কাজ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা এবার থেকে গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

এই নাইট কারফিউ জারি থাকলেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এখনও পর্যন্ত নিয়ম ভাঙার ঘটনা সামনে আসছে যেটা দেখে অত্যন্ত চিন্তিত রাজ্য সরকার। এই কারণেই নাকা চেকিং এর মাধ্যমে রাত্রিকালীন কারফিউ মানে হচ্ছে কিনা সেই সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবারে রাজ্য সরকার। যদি কেউ নাকা চেকিং ভাঙেন এবং নিয়ম ভেঙ্গে করোনাভাইরাস বিধি লংঘন করে কেউ বাড়ির বাইরে বের হয়ে যান তাহলে তার বিরুদ্ধে এবারে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জেলাশাসক। এমনকি তাকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শনিবার প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই তিনি করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ আটকানো নিয়ে তার বিস্তারিত মন্তব্য জানালেন। তার সাথে সাথে জেলাশাসক দের আদেশ দিলেন যেন সমস্ত ধরনের বিধি-নিষেধ ভালোভাবে পালন করা হয়। তাদেরকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিলেন যেন সরকারের সমস্ত গাইডলাইন সকলে ভালো ভাবে মানে। এ ছাড়াও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার কথাও জানালেন রাজের নবনির্বাচিত মুখ্য সচিব। তবে শুধুমাত্র যে রাজ্য সরকারের সমস্ত দায়িত্ব তা কিন্তু নয়। মানুষের যে এই সমস্ত বিধিনিষেধ নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল হওয়া উচিত সেই নিয়ে কিছু কথা বললেন হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। সর্বোপরি তিনি মনে করিয়ে দিলেন, শুধু রাজ্য সরকার নয়, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বেসরকারি সংগঠন এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষ যদি একসাথে কাজ করে তাহলে কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ আমরা আটকাতে পারব।