বাড়ছে স্পেসাল ট্রেন! লোকাল ট্রেন চালানোর আর্জি নিয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন পূর্ব রেলওয়ের

পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় ঢেউয়ের করোনা সংক্রমণ যখন শুরু হয়েছিল তখন এই সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার।

Advertisement

Advertisement

করোনা সংক্রমণ পশ্চিমবঙ্গে ধীরে ধীরে নিম্নমুখী। কিন্তু তবুও এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় ঢেউ রয়েছে। তাই এখন পর্যন্ত স্পেশাল ট্রেন গুলি ছাড়া অন্য কোন ট্রেন চলছে না। এছাড়া রয়েছে কিছু হাওড়া এবং শিয়ালদা ডিভিশনের স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। করোনা আবহ চরম পর্যায়ে থাকায় কিছুদিন আগে স্পেশাল ট্রেনগুলির সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু ধীরে ধীরে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে স্পেশাল ট্রেনে চাপ বাড়ছে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এরকম পরিস্থিতিতে এবারে ট্রেনের পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার আর্জি নিয়ে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে পূর্ব রেলওয়ে।

Advertisement

আপাতত শিয়ালদা এবং হাওড়া ডিভিশনে বেশ কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন চলছে এবং মোটামুটি ৩৪০টি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন রয়েছে এই ডিভিশনে। অন্য সময়ের মত যাতে স্বাভাবিকভাবে ট্রেন পরিষেবা চালানো যায় সেই নিয়ে পূর্ব রেলওয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে রাজ্য সরকার। বৈঠকের পরে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রুটে বাড়ানো হচ্ছে স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা। আগামী ১৬ এবং ১৭ জুন থেকে যাত্রী সংখ্যা অনুযায়ী দূরপাল্লার বেশ কয়েক জোড়া ট্রেন চালু করা হচ্ছে। অন্যদিকে পূর্ব রেলওয়ে জানিয়েছে, যে রুটে যেমনভাবে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে সেই রুটে তেমনভাবে স্পেশাল ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা।

Advertisement

এছাড়াও পূর্ব রেলওয়ে জানিয়েছে, আগে বন্ধ করা ৩৩ জোড়া স্পেশাল ট্রেন আবারও চালু করবে তারা। লকডাউন জারি হওয়ার পরে শুধুমাত্র জরুরী বিভাগের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের যাতায়াতের জন্য কয়েকটি বিশেষ ট্রেন চালু করেছিল রাজ্য সরকার। তারপরে ওই সমস্ত ট্রেনে স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য কয়েকটি বিভাগের কর্মীরা যাতায়াত করতে শুরু করলেন। ট্রেনের সংখ্যা একই থাকলেও যাত্রী সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে তাই এই সমস্ত ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে।

Advertisement

আবার অনেক সময় এই সমস্ত বিশেষ ট্রেনে করোনা বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক সময় আবার সাধারন মানুষেরা এই সমস্ত ট্রেনে উঠে পড়ছেন তাড়াতাড়ি গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য। তারা কোনো করোনা বিধি না মেনেই ট্রেনের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এর ফলে ট্রেনে যেমন ভিড় হচ্ছে তেমনিভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ছে। তাই এই সমস্ত অসুবিধার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর এবং পরিষেবা স্বাভাবিক করার আর্জি নিয়ে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ পূর্ব রেলওয়ে।