রাজ্যের সব লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজি শিল্পীদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিক সরকার, আর্জি বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের

Advertisement

Advertisement

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এখনো না শেষ হওয়ায় এবছর বাজি পোড়ানো বন্ধ রাখার আর্জি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি সকলকে অনুরোধ করেছেন যেন কালি পুজোতে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে সমস্ত কাজ করা হয়। আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গের বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রাজ্যের। রাজ্যের তরফে এই বৈঠকে থাকবেন মুখ্য এবং স্বরাষ্ট্র সচিব।

Advertisement

নবান্নে এই বৈঠক হতে চলেছে। তবে তার আগে, পশ্চিমবঙ্গের বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা বাবলা রায় আজ বেলা ১২ টায় মুখ্যমন্ত্রী কে একটি চিঠি পাঠান। এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি রাখা হয় যেন, ৩১ লক্ষ মানুষের জীবন এবং জীবিকার সুরক্ষার। পশ্চিমবঙ্গে বহু মানুষ এই বাজি তৈরি করে সংসার চালান। অনেকের কাছে প্রধান আয়ের এর উৎস কালীপুজোর আগে বাজি তৈরি করা অথবা বিক্রি করা। তাই যদি এই বছর বাজি বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়, না হলে বহু মানুষের জীবন এবং জীবিকা সংশয় এর মধ্যে পড়বে।

Advertisement

চিঠি পড়ার পরে বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধান বাবলা রায়কে নবান্ন থেকে ফোন করা হয়। তার সঙ্গে প্রথমে কিছুক্ষণ কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠির সমস্ত বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাকে আগামীকাল নবান্নে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে, এই কালি পুজোতে বাজি পোড়ানো এবং বিক্রি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফ থেকে একগুচ্ছ আর্জি নিয়ে নবান্নে যাওয়া হচ্ছে। তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি রাখতে চলেছেন যেনো কালি পুজোতে ১৪ এবং ১৫ নভেম্বর রাত্রি ৮ টা থেকে ১০টা অবধি অর্থাৎ মোট ৪ ঘন্টা বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি তারা আরো জানাচ্ছেন, যাতে ৩১ লক্ষ বাজি শিল্পী এবং বিক্রেতার আয়ের উৎস একেবারে বন্ধ না করে দেওয়া হয়। এছাড়াও তারা আর্জি রাখছেন যেনো, সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৫৩ হাজার ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।

তবে পাল্টা যুক্তি ও প্রস্তুত করেছে রাজ্য। রাজ্যে তরফ থেকে শর্ত দেওয়া হয়েছে, চীনের তৈরি বাজি একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। বেশি দেওয়া হয় এমন বাজি চলবে না। সাপ বাজি, ইলেকট্রিক তার, রং মশাল, এসব বাজি একেবারেই বন্ধ করতে হবে। শব্দবাজি একদম বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র কম দূষণের বাজি ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ শুধু গ্রীন ক্র্যাকার ছাড়া অন্য কোনো ধরনের বাজি তৈরি, বিক্রি এবং পোড়ানো কিছুই চলবেনা।