২০২৪ সালে নিজের মেয়ের জন্য শুরু করুন এই প্রকল্পে বিনিয়োগ, ম্যাচিউরিটির সময় পেয়ে যাবেন ৪৪ লাখ টাকা

ভারত সরকারের এই প্রকল্পটি আপনাদের অবশ্যই পছন্দ হবে

Advertisement

Advertisement

সন্তানের বাবা হওয়া কোন বিরাট বড় দায়িত্ব থেকে কম কিছু নয়। তার ওপর যদি সন্তান কন্যা হয় তাহলে এই দায়িত্বটা আরো অনেকটা বেড়ে যায়। আপনি খুব ভালো করেই জানেন কন্যাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের বাবাদের কতটা উদ্বেগ থাকে। মেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সমস্ত খরচ মেটাতে আপনাকে আজ থেকেই সেই কারণে বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। যদি আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনাকে ভবিষ্যতে আর বিশেষ সমস্যায় পড়তে হবে না। আপনাকে কিছু আর্থিক পরিকল্পনায় করতে হবে বিনিয়োগ। এর মধ্যে অন্যতম হলো সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে আপনি ৪৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তহবিল তৈরি করতে পারবেন। চলুন তাহলে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

Advertisement

সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা দেশের সরকারের তরফ থেকে আনা একটি দুর্দান্ত প্রকল্প যার মাধ্যমে ১০ বছরের কম বয়সি কন্যাদের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। দশ বছরের কম বয়সী এই কন্যাদের ক্ষেত্রে টাকা বিনিয়োগ করতে হলে আপনি ৮ শতাংশ করে সুদ পেয়ে যাবেন প্রতি বছর। মনে রাখবেন সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে আপনি প্রতিবছর সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। মেয়ের বয়স যতক্ষণ না ২১ বছর হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আপনি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। অন্যদিকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর হবার পরে আপনি পড়াশোনার জন্য কিছু টাকা এখান থেকে তুলতে পারেন।

Advertisement

আপনি যদি সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা প্রকল্পে ৪৪ লক্ষ টাকা জমা করতে চান তাহলে ১৫ বছরের জন্য বার্ষিক এক লক্ষ টাকা করে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি ১৫ বছরে ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেন এবং ৮% বার্ষিক সুদের হারে আপনি সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা প্রকল্পে মোট ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯০ টাকার সুদ পেয়ে গেলেন। এই হিসেব অনুযায়ী যদি সব মিলিয়ে দেখা যায় তাহলে মেয়াদ পূর্তির সময় আপনার মূল তহবিল ৪৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৯০ টাকা হবে। আপনার মেয়ের বয়স যদি এখন তিন বছর হয় এবং আপনি ২০২৪ সাল থেকে তার জন্য বিনিয়োগ শুরু করেন, তাহলে আপনাকে প্রথম ১৫ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সাল পর্যন্ত বার্ষিক বিনিয়োগ করতে হবে। এরপর আপনার মেয়ের বয়স ২১ হলে আপনি তার বিয়ের জন্য টাকা পেতে পারেন। ২০৪৫ সালে এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হবে।

Advertisement

Recent Posts