গ্রহণ করা হল না শুভেন্দুর ইস্তফা, বাধ্য হয়ে রয়ে যেতে হল তৃণমূলের বিধায়ক হিসেবেই

Advertisement

Advertisement

আশঙ্কা যা ঠিক তাই হল। সবকিছু শেষ হয়েও রয়ে গেল কাঁটা এখনও। বৃহস্পতিবার দলত্যাগ করেছিলেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তিনি এখনও খাতা কলমে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক, আর এই কারণ দেখিয়েই বিধানসভায় দেওয়া পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করলেন না অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আগামী ২১ তারিখ বিধানসভায় ডাক পড়েছে শুভেন্দুর।

Advertisement

বুধবার বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক পদ ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দল ছাড়েন তিনি। তৃণমূল নেত্রীকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। ফলে অমিত শাহের সফরের আগেই ঘাসফুল শিবিরের সাথে তিনি মিটিয়ে ফেলেছেন তার সমস্ত সম্পর্ক। কিন্তু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য দেওয়া শুভেন্দুর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করলেন না বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তিনি এখনও রয়ে গেলেন তৃণমূলের বিধায়ক।

Advertisement

গত বুধবার ৪ টের সময় বিধানসভায় গিয়েছিলেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে তিনি জমা দেন তার পদত্যাগ পত্র। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে রিসিভ সেকশনে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন শুভেন্দু। নিজের হাতে লেখা ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছিলেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তবে এইদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে এমন ভাবে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়া বিধি সম্মত নয়। তাতে রয়েছে বহু ত্রুটি। শুভেন্দুর হাতে লেখা ইস্তফাপত্রে উল্লেখ নেই কোনও তারিখের। তাছাড়া জানা যায়নি যে তিনি কোন কেন্দ্রের বিধায়ক। এই কারণ দেখিয়েই এইদিন গ্রহণ করা হয়নি তার পদত্যাগ পত্র। ফলে খাতায় কমলে এখনও তিনি ঘাসফুল শিবিরের বিধায়ক।

Advertisement

শুক্রবার তথা আজ সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানান পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে ২১ তারিখ আবারও শুভেন্দুকে তলব করা হয়েছে বিধানসভায়। ইমেলের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। এইদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিমান বাবু বলেন,”আমি সেই দিন ১.৩০ পর্যন্ত ছিলাম বিধানসভায়। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে ৪ টের সময় বিধানসভাতে আসেন শুভেন্দু। এভাবে ইস্তফা দেওয়া যায়না। স্পীকারের সামনে দাঁড়িয়ে ইস্তফা দেওয়া বাঞ্ছনীয়।”