“আশা করি ২১ এর ভোটে আমরা শোভনদাকে পাবো”, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জল্পনা উস্কে দিলেন দিলীপ

Advertisement

Advertisement

বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে শোভন বৈশাখী ইস্যু নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেবার পরে বেশ কয়েক বছর কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জি রাজনীতি থেকে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন। কিন্তু, এবারের ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে আবারো তিনি মাঠে নামতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisement

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “শোভন দা বিজেপিতে আছেন। উনি কিভাবে এই নির্বাচনে কাজ করতে চাইছেন তা জানার জন্য বিজেপির তরফে তার বাড়িতে একটি মিটিং করা হবে খুব শীঘ্রই। তিনি বাংলার একজন বর্ষীয়ান নেতা। আশা করি আমরা এই একুশের ভোটে আমরা ওনাকে আমাদের পাশে পাবো। ”

Advertisement

শুক্রবার শোভন চ্যাটার্জি এবং বৈশাখী দেবীর সঙ্গে বৈঠক করতে তাদের ফ্ল্যাটে গিয়ে পৌঁছান বিজেপির কেন্দ্রিয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং রাজ্য সাধারণ সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরবিন্দ মেননদের এই বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে। এবং তারপরেই নতুন করে শোভন চ্যাটার্জিকে নিয়ে সমীকরণ গঠন করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে বিজেপিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় এর গুরুত্ব বাড়ছে। সবকিছু যদি ঠিকঠাক চলে, তাহলে এবছরের শেষের দিকে বিজেপির হয়ে সক্রিয়ভাবে আবারো মাঠে নামতে দেখা যাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তবে শুধুমাত্র শোভন চ্যাটার্জি নয়, সঙ্গে থাকবেন বৈশাখী ব্যানার্জিও। ২১ নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বর্তমানে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত করা হচ্ছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

শুক্রবার অরবিন্দ মেনন এবং অমিতাভ চক্রবর্তী সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠকের পরে আবারও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপির হয়ে প্রচারে নামার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। শুক্রবার বৈঠক শেষ হতে না হতেই, শনিবার দিলীপ ঘোষ নিজেই বললেন, ” আশাকরি একুশের ভোটে আমরা শোভনদাকে পাশে পাব।

তবে হালকা করে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ ছুয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অনেকেই বিজেপিতে আসতে চাইছেন, কে কবে আসবেন তারাই ঠিক করবেন। অন্যদিকে, ছট পুজো নিয়েও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন,”পুজো বিয়ে অন্নপ্রাশন সবকিছু নিয়ে রাজনীতি হয় পশ্চিমবঙ্গে।” তিনি আরো অভিযোগ করলেন, যে ঘাটে আমাদের কর্মীরা প্রতিবছর পুজো দেয়, সেই ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ডায়াস ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

Recent Posts