‘দিদি ক্ষমা না করলে বাঁচবো না’, বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে আসার কাতর আর্জি সোনালীর

তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে সোনালী গুহ বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন

Advertisement

Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অস্বস্তিজনক ছিল দলবদল ইস্যু। তখন একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। সেই দলেরই সদস্য ছিলেন সোনালী গুহ। তৃণমূলের বহু পুরনো সৈনিক হওয়া সত্ত্বেও চলতি বছরে তিনি নির্বাচনে লড়াই করার টিকিট পাননি। আর তাতেই জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে তিনি তৃণমূল ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে “দিদি বদলে গেছেন” বলে কান্নায় ভাসিয়েছিলেন। সেই দাপুটে নেত্রী সোনালী গুহ আজ ফের কাঁদছেন। কিন্তু এবারের কান্না দলে ফিরে আসার আর্জিতে।

Advertisement

আজ অর্থাৎ শনিবার তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোনালী গুহ সর্বসমক্ষে ফের তৃণমূলের ফিরে আসার কাতর আর্তি জানিয়েছেন।। তিনি টুইট করে বলেছেন, “আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। দল পরিবর্তন করে সেখানে গিয়ে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না ঠিক তেমনি আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী এবং আমাকে দয়া করে ক্ষমা করে দেবেন। ক্ষমা না করলে আমি বাঁচবো না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে দিন।”

Advertisement

অন্যদিকে এই সোনালী গুহ মাত্র দু মাস আগে চোখের জলে মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে বিজেপি শিবিরে যোগদান করেছিলেন। নির্বাচনে টিকিট না পেতেই পুরনো সহযোদ্ধা মুকুল রায়কে ফোন করেন এবং দিলীপ ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু আসলে দুঃখের বিষয় এটাই যে তিনি যে কারণে তৃণমূল ছেড়েছিলেন তা বিজেপিতে গিয়েও পূরণ হয়নি। গেরুয়া সৈনিক হয়েও তার ভাগ্যে টিকিট জোটেনি। উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটে আবারো বাংলায় ক্ষমতায় এসেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে তাই হয়তো আবারও সোনালী গুহার মত পরিবর্তন হয়েছে।

Advertisement

সোনালী গুহর বিজেপি ছাড়া প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “কেউ যদি ফিরে গিয়ে শান্তি পায় তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।”এছাড়া তাঁর তৃণমূলের ফিরে আসা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “তাকে ফেরানোর ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা বলবেন।”