হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদ এর আজ ১১৪ তম জন্মদিন, উপলক্ষে রইলো কিছু অজানা তথ্য

Advertisement

Advertisement

খেলাধুলার সঙ্গে কেনা পরিচিত। লেখাপড়া শুরুর আগেই শিশুর খেলাধুলার শুরু হয়ে যায়। শিশুর অহেতুক হাত-পা ছড়ার মধ্যে দিয়ে যে আনন্দ প্রাপ্তির সম্ভবত তারই মধ্যে লুকিয়ে থাকে ভবিষ্যতের খেলাধুলার বীজ। বাড়ার সাথে সাথে সে বীজ অঙ্কুরিত হতে থাকে। প্রথমে ঘরোয়া খেলা দিয়ে শুরু। শিশুদের আহবানে ঘরের বাইরে প্রান্তরে বৃহত্তর খেলার জগতে প্রবেশ। ছাত্রজীবনে অপরাহ্ন অতিবাহিত হয় সবান্ধবে ওই ক্রীড়াঙ্গনে । এই ছিল বাল্য বয়সের এক মধুর স্মৃতি। দু’ধরনের খেলাধুলা আছে ঘরোয়া খেলা মাঠের খেলা। মাঠের খেলার বুদ্ধিবলে প্রয়োগে এবং প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার প্রত্যাশায় যে আনন্দ শিহরন আমরা অনুভব করি, ততটা উত্তেজনা আবেগ ঘরোয়া খেলায় না থাকলেও তার থেকেও আনন্দ আমাদের কম মেলেনা। বর্ষার মেঘ,বৃষ্টির সময় ঘরোয়া খেলাই আমাদের মাঠের খেলার বিকল্প।

Advertisement

খেলাধুলো আমাদের স্বাস্থ্যকে সজীব করে, আমাদের আলস্যকে ঘুম পাড়ায়, আমাদের গতিহীন জীবনে আনে দ্রুত ছোটার আনন্দ দেয়। তাছাড়া জীবন সংগ্রামে জয়ী হবার অনুপ্রেরণায় অনেকটা আমরা খেলাধুলা থেকে পাই। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি এগুলি হল বাইরের খেলার মধ্যে অন্যতম। একজন বিখ্যাত হকি প্লেয়ার ছিলেন ধ্যানচাঁদ।

Advertisement

ধ্যানচাঁদ এর জীবনী : আজ 29 আগস্ট জাতীয় ক্রীড়া দিবস। এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদ। তার জন্মদিন টিকেই স্মরণ করেই তাকে শ্রদ্ধা জানাতে 29 আগস্ট জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালন করা হয়।

Advertisement

1905 সালের 29 শে আগস্ট এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। সেই সূত্রে ছোটবেলাতেই ঝাঁসিতে চলে আসেন তারা। তার বাবা সেনাবাহিনীতে নিয়মিত হকি খেলতেন। ছোটবেলা থেকেই চাননি যে তিনি বড় হয়ে হকি খেলোয়াড় হবেন বরং তিনি খেলাধুলার মধ্যে পছন্দ করতেন কুস্তি।

1921 সালে মাত্র 16 বছর বয়সে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তার হকি খেলা শুরু হয় মোটামুটি সেখান থেকে। 1928, 1932, 1934 সালের অলিম্পিকে হকিতে সোনা জিতে হ্যাটট্রিক করেন।ভারতীয় দল যার মধ্যে বেশিরভাগই অবদান ছিল তার।

1936 সালে বার্লিন অলিম্পিক যেন ছিল ধ্যানচাঁদের সময়। সেই সময় বার্লিনের সারা শহর জুড়ে ধ্যানচাঁদের পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ভারত হারিয়েছিল 10 – 1 গোলে, যার মধ্যে চারটি গোল ই ছিল ধ্যানচাঁদের। তাকে মেডেল পরিয়ে পুরস্কৃত করেন রাষ্ট্রনায়ক হিটলার। তারপরে স্টেডিয়াম থেকে জিজ্ঞাসা করেন হিটলার ভারতে কি করেন তিনি! তিনি বলেন ভারতের সেনাবাহিনীতে যুক্ত তিনি। তারপর হিটলার তাকে জার্মানীর সেনাবাহিনীতে উচ্চ পদের জন্য আমন্ত্রণ জানান। তবে তার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। তার আত্মজীবনীতে এই ঘটনার কথা লিপিবদ্ধ আছে।

তবে তার আসল নাম ধান চাঁদ। তার আসল নাম ধ্যান সিং। তিনি এতটাই খেলার জন্য সাধনা করতেন যে তিনি রাতের বেলাতেও প্র্যাকটিস করতেন, সেই কারণে সতীর্থরা তার নাম রাখেন ধ্যানচাঁদ।নয়াদিল্লিতে তার নামে একটি ক্রীড়া স্টেডিয়াম রয়েছে। ঝাঁসিতে তার নামে রয়েছে জাতীয় হকি একাডেমী । খেলায় ধ্যানচাঁদ পুরস্কার দান করা হয়। 1979 সালের 3 ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ধ্যানচাঁদ এর সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের ধারণা অত্যন্ত সীমিত। তবে তার মতন মানুষকে জানা প্রত্যেকটি নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের প্রয়োজন।

Written By – শ্রেয়া চ্যাটার্জি

Recent Posts