Mamta Banerjee: বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে’, ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ মমতার

Advertisement

Advertisement

ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা, যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তার আর অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভা বাতিল এবং তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে অমিত শাহ দেখা না করা। বিভিন্ন অভিযোগে বিজেপি সরকারকে এদিন নিশানা করলেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ত্রিপুরার উত্তপ্ত পরিবেশের মধ্যে সোমবার চারদিনের দিল্লি সফরে যেতে হচ্ছে। যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। দমদম বিমানবন্দরে প্রকাশ্যে এদিন তিনি অভিযোগ করলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। ত্রিপুরার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ।

Advertisement

মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এদিন রাজধানীতে পৌঁছে প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের দফতরের সামনে বিক্ষোভরত সকল তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তবে তিনি কোনো ধর্নায় বসবেন না। এদিন তাঁর অভিযোগ, ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে ত্রিপুরা সরকার। আর এখন মানবাধিকার কমিশন চুপ। তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৃণমূলকে ভয় পেয়েছে তাই সাংসদদের সঙ্গে দেখা করছেন না। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সায়নীর মতো শিল্পীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দিয়েছে। অত্যাচারের পর অত্যাচার করছে। জানি না এখন কোথায় গেল মানবাধিকার কমিশন।”

Advertisement

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর আরো অভিযোগ, “বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনো গণতন্ত্র নেই। কথায় কথায় খুন করা হচ্ছে। গুন্ডারা আর্মস নিয়ে পুলিশের সামনে রাস্তায় ঘুরছে। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। তারপরেও আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। মানুষ এর জবাব দেবে।” ত্রিপুরায় গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা। তাঁরা শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন তৃণমূল । তবে সেই সাক্ষাৎের এখনও সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের সুপ্রিমো। ব না

সামনেই ত্রিপুরাতে পুরসভা ভোট। নির্বাচনের পূর্বে ত্রিপুরা সরকারকে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অন্য বিরোধীদের প্রচারে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই প্রশাসনকে নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ কি আদেও মানছে ত্রিপুরার বর্তমান সরকার। এদিন আদালতের রায়কে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানছে না ত্রিপুরা সরকার। এটা শীর্ষ আদালতের অবমাননা।” দিল্লি, মুম্বই-সহ আরও অন্যান্য রাজ্যেও ত্রিপুরা এই ইস্যু নিয়ে বিক্ষোভ হবে।