মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপিতে (সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড) বিনিয়োগকারীদের প্রবণতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বেড়েছে ১.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা। শিল্প সংস্থা আমফি এ তথ্য জানিয়েছে। এসআইপিগুলির মাধ্যমে ন্যূনতম বিনিয়োগকে ২৫০ টাকায় সীমাবদ্ধ করার সেবির সিদ্ধান্তটি ভবিষ্যতে বিনিয়োগের পরিমাণকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডস ইন ইন্ডিয়ার (এএমএফআই) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মোট এসআইপি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২ সালে এই পরিমাণ ছিল ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা, ২০২১ সালে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকা, ২০২০ সালে ৯৭,০০০ কোটি টাকা।
শিল্প বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি কারণকে দায়ী করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্ফি দ্বারা ছড়িয়ে পড়া সচেতনতা, ডেমোগ্রাফিকস, ইক্যুইটি বিনিয়োগে শক্তিশালী রিটার্ন এবং বিনিয়োগের সহজতা। এসআইপি হল মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থাগুলির দ্বারা প্রদত্ত একটি বিনিয়োগ পদ্ধতি। এতে, একজন ব্যক্তি এককালীন বিনিয়োগের পরিবর্তে একটি নির্বাচিত স্কিমে সময়ে সময়ে নির্দিষ্ট বিরতিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করতে পারেন। বর্তমানে এসআইপির ন্যূনতম মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি এসআইপি বিনিয়োগের ন্যূনতম সীমা ২৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে এটি আরও জনপ্রিয় হয়। আদিত্য বিড়লা সান লাইফ এএমসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এ বালাসুব্রহ্মণ্যম বলেন, ছোট এসআইপি থাকার ফলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের দরজা খুলে যাবে। মাসিক এসআইপি অবদান ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ১১,৩০৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১৭,০৭৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
SIP ক্যালকুলেটর অনুযায়ী এই প্ল্যানে যদি দৈনিক ১৫০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন, মানে কেউ এক মাসে ৪,৫০০ টাকা এবং বছরে ৫৪,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবেন৷ তাহলে ১২ শতাংশ রিটার্ন অনুযায়ী, ১৫ বছরে বছরে ১৪,৬০,৫৯২ টাকা সুদ পাওয়া যাবে।