“যারা সিএএ সমর্থন করেনি, তাদের সাথে হাত মেলানোর কোনও প্রশ্নই নেই।”, মুখ খুললেন শান্তনু

"এই রাজ্যে সিএএ হবেই", বক্তব্য শান্তনু ঠাকুরের (Santanu Thakur)

Advertisement

Advertisement

দলেই আছেন নেতা। বোঝাতে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে (Santanu Thakur) দলের নির্বাচনী সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করাল বাংলা পদ্ম শিবির। মুকুল রায়ের পাশে বসে বুধবার শান্তনু বলেছেন,”যারা সিএএ সমর্থন করেনি, তাদের সাথে হাত মেলানোর কোনও প্রশ্নই উঠছেনা। সাথে তিনি জানিয়েছে যে বাংলাতে সিএএ কার্যকর করা হবেই। কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর আস্থা রয়েছে তার।

Advertisement

আগের কিছু মাস ধরেই সিএএ কার্যকর করা নিয়ে বেসুরো হতে দেখা গিয়েছিল সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। সম্প্রতি এই ব্যপারে এবং মতুয়াদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন। এমনকি তিনি সুরর চড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও। তার সাথে দলে যোগদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন শাসক দলের উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ময়দানে নামে বিজেপি নেতৃত্ব। আগের সোমবার কলকাতার পাঁচতলা হোটেলে শান্তনুর সাথে বৈঠক করেন বিজেপির নেতারা। তার পরেই এইদিন দলের নির্বাচনী সদর দফতরে উদয় হন শান্তনু।

Advertisement

এইদিন শান্তনু ঠাকুর বলেন,”যারা সিএএ সমর্থন করেননি তাদের সাথে হাত মেলানোর প্রশ্নই ওঠে না। আমি নিয়ে ভোট দিয়ে সিএএ পাশ করিয়েছি। সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে বিল পাশ পর তা আইনে পরিণত করা হয়েছে। তাতে এই দেশের মতুয়াদের নাগরিকত্ব সুরক্ষিত হবে। এর পর শুধুমাত্র নাগরিকত্ব প্রদানের পর্ব বাকি। করোনা সংক্রমণের জন্য সেটা বিলম্বিত হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কি পরিকল্পনা তা আগামী মাসেই ঠাকুরনগরে জনসভা করে জানাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Advertisement

অন্যদিকে মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে তৃণমূলকে একযোগে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুকুল রায়(Mukul Roy) । তিনি বলেন, প্রকৃত উন্নয়নের বদলে মতুয়াদের শুধু ভোট ব্যঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে।

Recent Posts