Royal Enfield Hunter 350 বাইক কিনতে যাচ্ছেন? জেনে নিন এই তিনটি সমস্যার ব্যাপারে

রয়েল এনফিল্ড এর এই বাইক আপনি কিনলেও তাতে বেশ কিছু সমস্যা আপনি দেখতে পাবেন

Advertisement

Advertisement

নবপ্রজন্মের কাছে রয়েল এনফিল্ড মানেই একটা ইমোশন। এই বাইকের ডিজাইন, লুক অ্যান্ড ফিল, সবকিছুই অন্যান্য বাইকের থেকে একেবারে আলাদা। এই বাইকে আপনারা পেয়ে যান দারুন ক্ষমতা বিশিষ্ট ইঞ্জিন, একটা স্পোর্টি অথচ স্টার্ডি লুক, সবকিছুই। তবে এতদিন পর্যন্ত রয়েল এনফিল্ড যে সমস্ত বাইক মার্কেটে নিয়ে আসতো সেগুলির দাম ছিল অত্যন্ত বেশি। তবে এবারে রয়েল এনফিল্ড এর তরফ থেকে এমন একটি বাইক নিয়ে আসা হয়েছে যা ফিচার এবং অন্যান্য দিক থেকে রয়েল এনফিল্ডের অন্যান্য বাইককে টক্কর দিল দাম অনেকটা কম। এই বাইকে আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন দারুন কিছু এডভান্স ফিচার, এবং তার সাথেই এই বাইকটি এই মুহূর্তে বাজারের সবথেকে সস্তার রয়েল এনফিল্ড। গতকালই ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছে এই বাইকটি এবং রয়াল এনফিল্ড এর তরফ থেকে এই বাইকের নাম দেওয়া হয়েছে – রয়েল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০। তবে এই বাইকের রয়েছে তিনটি এমন সমস্যা যা হয়তো আপনার বাইক চালানোর এক্সপেরিয়েন্স আরো খারাপ করে দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই তিনটি সমস্যার ব্যাপারে।

Advertisement

প্রথমটি হল এই বাইকের দাম। এই বাইকটির এক্সশোরুম দাম রাখা হয়েছে ১.৫ লক্ষ টাকা এবং এর টপ ভেরিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে ১.৬৯ লক্ষ টাকা। সাধারণত ভারতে এই রেঞ্জের যে সমস্ত বাইক পাওয়া যায় তার দাম ১.২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হয়ে থাকে। এত দাম দিয়ে সাধারণ মানের একটি বাইক কেনার কোন মানে থাকে না। শুধুমাত্র রয়েল এনফিল্ড ব্র্যান্ডিং এর জন্য এতটা পরিমাণ দাম বৃদ্ধি করা হয়তো ঠিক নয়। এইটা ভারতের সাধারণ ক্রেতার কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Advertisement

দ্বিতীয় হল এই বাইকের মাইলেজ। এই বাইকে রয়েছে ৩৪৯ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের সাথে আপনারা ৫ স্পিড গিয়ারবক্স পেয়ে যাচ্ছেন। এই ইঞ্জিনটি ৬,১০০ আর পি এম গতিতে ২০.২ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে পারে এবং ৪০০০ আরপিএম গতিতে ২৭ নিউটন মিটার টর্ক জেনারেট করতে পারে। কোম্পানি দাবি করছে এই বাইকে ৩৬.২ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পাওয়া যাবে। কিন্তু দেখতে গেলে বাজারে এমন বেশ কিছু বাইক আছে যারা প্রায় ৭০ কিলোমিটার প্রতি লিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই বাইকটি মাইলেজের দিক থেকে খুবই খারাপ।

Advertisement

তৃতীয়তঃ এই বাইকটির ওজন প্রচন্ড বেশি। এই বাইকের কার্ব ওয়েট প্রায় ১৮১ কিলোগ্রামের মত। আপনার যদি ভারী বাইক চালাতে কোন সমস্যা হয় তাহলে বুলেটের এই বাইকটি আপনি চালাতে পারবেন না। অন্যদিকে হিরো স্প্লেন্ডার বাইক এর ওজন মাত্র ১১২ কিলোগ্রাম। তার পাশাপাশি এই বাইকের সিট হাইট ৭৯০ মিলিমিটার। যারা কম উচ্চতার মানুষ রয়েছেন তাদের জন্য এতটা উচ্চতার সিট একটু সমস্যা করতে পারে।

Recent Posts