Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

৩০ টাকার লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি দিন আনা দিন খাওয়া রামকৃষ্ণ

Updated :  Tuesday, July 13, 2021 11:05 PM

অন্যের ভাগ্য ফেরাতে একটা সময় নিজেই লটারি টিকিট বিক্রি করতেন। অনেক সময় নিজের বিশ্বাস করতেন লটারি কেটে সব সময় খুব একটা কিছু হয়না। কিন্তু তবুও দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে অন্যের ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য প্রত্যেকদিন স্টল দিতেন। কখনো বিক্রি হতো আবার কখনো বিক্রি হতো না। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে এইটাই ছিল একমাত্র উপার্জনের রাস্তা। কিন্তু একদিন খেয়াল বশে নিজেই একটি টিকিট কেটে ফেললেন তিনি। আর তাতেই কেল্লাফতে। এক রাতের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে গেলেন ভাতারের এই দিন আনা দিন খাওয়া লটারি বিক্রেতা।

পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বাসস্ট্যান্ডে লটারি টিকিট বিক্রি করতেন বহুদিন ধরে রামকৃষ্ণ দাস। এই একটি ব্যবসা তার পুরো সংসারকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। লকডাউনে সেই ব্যবসাতেও টান পড়ে। কার্যত সেই সময় দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যাই হোক তারপর আবার সবকিছু ঠিকঠাক হয়। আবারো প্রত্যেক দিনের মতো তিনি লটারি টিকিট বিক্রি করার জন্য গিয়ে বসলেন। কিন্তু সোমবার রাতে হঠাৎ করে খেয়াল বশত নিজের ভাগ্য পরীক্ষার জন্য 30 টাকা দিয়ে একটি টিকিট কেটে ফেললেন রামকৃষ্ণ বাবু। আর সেই টিকিটের বাজিমাত।

এক রাতের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে গেলেন ভাতারের ওই ব্যক্তি। পাঁচ ভাই দুই বোন নিয়ে তার সংসার। সরকারি খাস জমিতে দীর্ঘ বেশ কিছুদিন ধরে বসবাস করছেন। একটা ঘরের মধ্যে রান্না, খাওয়া, সবকিছু। একেবারে দিন আনা দিন খাওয়া সংসার। যদি তিনি একদিন কাজে না যান তাহলে সেইদিন হাঁড়ি চড়বে না। দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করেন। কিন্তু এমন একটা লটারি টিকিট কেটে হঠাৎ করে কোটিপতি হয়ে গিয়ে রীতীমতো ঘুম উড়ে গিয়েছে ওই ব্যক্তির।

তার স্ত্রী জানাচ্ছেন, অভাব-অনটন তার দীর্ঘদিনের সংগী। যখন তার মেয়ে এবং জামাই বাড়িতে আসে তখন অন্যরা বাইরে ঘুমোতে যান। বর্ষা শীতকালে চরম কষ্ট। তিনি বহু দিন ধরে চাইছিলেন যেন একটা বাড়ি হোক। এবারে সেই লটারি টিকিটে বাড়ি হবে। অন্যদিকে রামকৃষ্ণ বলছেন, লটারি ব্যবসা করার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। এই ব্যবসায় নিজেই নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই টাকায় তার সমস্ত ঋণ শোধ করতে পারবেন তিনি। রথযাত্রার দিন টিকিট কেনা। রামকৃষ্ণ বাবু মনে করছেন, এই টাকা তাকে জগন্নাথ দিয়েছে। তাই তিনি লটারি ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে একটি টোটো কিনে চালানো শুরু করবেন বলে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।