আলিপুর আদালত চত্বরের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন মাদক কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা রাকেশ সিং (Rakesh Singh)। আলিপুর আদালত চত্বরে পৌঁছানো মাত্রই রাকেশ সিং কে নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যদিও আলিপুর আদালত তাকে ১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
মঙ্গলবার কোকেন কাণ্ডে আটক করা হয় বিজেপি নেতা রাকেশ সিং কে। তারপর তাকে লালবাজার নিয়ে আসা হয় এবং বুধবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ আধিকারিকরা যখন রাকেশকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছেন তখন এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। রাকেশ সিং অভিযোগ করলেন, পুলিশ তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ ছাড়াই তাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ তাকে অত্যাচার করছে। এছাড়াও তিনি দাবি করেছেন, তিনি যাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন তার জন্য তাকে জেল হেফাজতে আটক করা হয়েছে। রাকেশ সিংয়ের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করেছেন। অন্যদিকে, পুলিশ আবেদন করেছে তাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে মাদকসহ আটক করা হয় বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী কে। তারপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে পেশ করা হলে তিনি রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে তাকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ নেতা রাকেশ সিং তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। এই মর্মে রাকেশ সিং কে আটক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে পুলিশ। তার মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন দেখে পুলিশ তাকে আটক করে। লালবাজারে দেখা করার কথা ছিল তার বিকেলবেলা নাগাদ। কিন্তু তার বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই তিনি বেপাত্তা হয়ে যান। পরে বিকেল বেলা নাগাদ তার ফোন চালু হলে গোলসি থানার পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে তাকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়।