বন মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ‘বেসুরো’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি দল ছাড়েননি বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

Advertisement

জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবারে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন হাওড়ার হেভিওয়েট নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। এদিন তিনি তাঁর সহকারী লেটারহেড লিখেছেন, “আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি, আজ অর্থাত ২২ জানুয়ারি আমি বনদপ্তর এর কেবিনেট মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। আমি এতদিন মানুষের জন্য যা সেবা করতে পেরেছি তাতে আমি ধন্য। এটা আমার কাছে বড় সম্মান। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।” রাজ্যপালের কাছেও তিনি এই চিঠির একটি কপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

তবে রাজীব বলেছেন,” মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দল এখনো ছাড়িনি।” তবে এই ঘটনাটি হওয়ারই ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার বেসুরো হতে দেখা গিয়েছে রাজিব ব্যানার্জি কে। অত্যন্ত পরিণত এবং মার্জিত রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক মনষ্কতা বেশ কিছুদিন ধরে বদলাতে শুরু করেছিল। প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে তিনি দলের অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় তার দল বদল এর। আর আজকে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে সেই জল্পনা আরো উস্কে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

স্তাবকতার অভিযোগ দিয়ে তিনি যত মত তত পথ জাতীয় মন্তব্য করেছিলেন প্রকাশ্য সভায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকা হয়েছিল তার জন্য। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) সহ ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাজিব ব্যানার্জি বলেছিলেন,” আমাকে শুভেন্দু বাবুর সঙ্গে গোলাবেন না।”

Advertisement

যদিও সে সময় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিস্তর টালমাটাল চলছিল। সেই সময় রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে রাজিব বলেছিলেন,” বেশ কয়েকজন নেতা দলের কর্মীদের চাকর-বাকর ভাবে তাদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলেন। তাদের জবাব কর্মীরাই দেবেন। ” তারপর বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়। এরপর হাওড়ার সাংগঠনিক দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। তা নিয়ে জল্পনা আরো তুঙ্গে ওঠে। তবে এখনো পর্যন্ত দল না ছাড়লেও তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে এখনও জলঘোলা চলছে বিস্তর।

Recent Posts