নয়াদিল্লি: গত মাসে একটি স্থানীয় ক্লাবে নিজের জন্মদিন পালন করে অনুগামীদের উদ্দেশ্যে কেক কেটেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনা। তখন হয়তো তিনি জানতেনও না এটিই তাঁর জীবনের শেষ জন্মদিন পালন করা হবে। জন্মদিন পালনের বেশ কিছুদিন পরেই মস্তিষ্কের সংক্রমণজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মারাদোনা। তারপর কিছুদিন কেটে গেলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু সেই ফেরাটা জীবনের মূল স্রোতে আর ফেরা হল না। অবশেষে আজ, বুধবার নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ষাটোর্ধ্ব দিয়েগো মারাদনা। ফুটবলের রাজপুত্রের মৃত্যুতে কার্যত শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফুটবল মহলে। তবে শুধু ফুটবল মহল বললে ভুল হবে। ক্রিকেট তথা অন্যান্য ক্রীড়ামহল এমনকি শিল্প-সংস্কৃতির রাজনৈতিক সমস্ত মহলেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যক্তিত্বরা। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সহ আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
রাহুল গান্ধী মারাদোনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করে লিখেছেন, ‘দিয়েগো মারাদনা একজন লেজেন্ড ছিলেন, যিনি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি একজন ম্যাজিশিয়ান ছিলেন, যিনি আমাদের বুঝিয়েছেন কেন ফুটবলকে ‘একটা সুন্দর খেলা’ বলা হয়। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অনুগামীদের জন্য আমার সমবেদনা রইল।’
শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপি-র একটি টুইট রিটুইট করে লিখেছেন, ‘ফুটবলের মৃত্যু হল, উফ্!’ এরপর তিনি আর একটা টুইট করে লিখেছেন, ‘যখন জীবনে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমি দাঁড়াই এবং মনে হয় কাজটা অসম্ভব, তখন আমি মারাদোনার ম্যাজিক্যাল কিছু মুহূর্ত দেখি এবং সেটা দেখে মনে মনে বিশ্বাস তৈরি করে বলে উঠি জীবনে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। এমনকি আমার স্ত্রীও বর্তমানে ফুটবল দেখে। ওকেও আমি মারাদোনার সম্পর্কে অনেক কিছু দেখিয়েছি। ফুটবলের ঈশ্বরের আত্মা শান্তি কামনা করি।’ এভাবেই গোটা বিশ্ব কার্যত মারাদোনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন। কারণ, শারীরিকভাবে হয়তো তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তিনি আজীবন রয়ে যাবেন তাঁর বাঁ পায়ের জাদু দিয়ে।