সামনেই নির্বাচন! তাই দ্রুতগতিতে প্রকাশ হল প্রাথমিক টেটের ফল

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: ভোটের (Election) আগে দ্রুততা প্রাথমিক টেট (Primary Tet) নিয়োগে, প্রকাশিত ১৫ হাজারের বেশি প্রার্থীর ফলাফল (Result)। সামনে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন পদে নিয়োগে গতি নিয়ে আসছে রাজ্য সরকার (State Govt)। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে এবার ২ মাসের মধ্যে প্রাথমিক টেটে শিক্ষক (Teacher) নিয়োগের ফলপ্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে প্রথম ধাপে ফল প্রকাশিত হল ১৫,২৮৪ জনের। সোমবার (Monday) গভীর রাতে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সংসদের ওয়েবসাইটে (Website)। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের দ্রুত নিয়োগ করা হবে।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকটাই গতি পেল নিঃসন্দেহে। তার উপর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই নিয়োগ শাসক শিবিরের সমর্থন খানিকটা বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। প্রার্থীরা ফলাফল দেখতে পারেন – http://www.wbppe.org এবং https://wbprimaryeducation.org – এই দুই ওয়েবসাইটে। প্রায় ৭ বছর ধরে আটকে টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে প্রায় ৭ বছর। গত নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এবার লাল ফিতের ফাঁস খুলে দ্রুত প্রাথমিক টেটে নিয়োগ করতে হবে। তারপর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। শুরু হয় আবেদনকারীদের নথিপত্র যাচাইয়ের কাজ। তারপর নথির ভিত্তিতে ফলপ্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।

Advertisement

দু’ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গেল। আপাতত ১৫,২৮৪ জনের নাম রয়েছে প্রকাশিত ফলাফলে। এরপর ধাপে ধাপে বাকি বারোশোর বেশি শিক্ষকের জন্য ফলপ্রকাশ করে দ্রুততার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। এতে স্বভাবতই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল হবু শিক্ষকমহল। এদিকে গত পরশুই সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। মেধার ভিত্তিতে প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিশ কমিশন। এর আগে ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখ পরীক্ষার নোটিস জারি করেছিল কমিশন। জানুয়ারি মাসের ২৮ ও ২৯ এবং ফেব্রুয়ারির ২ ও ৩ তারিখ পরীক্ষা হয়েছিল রাজ্যে। তার দিন বারোর মধ্যে তালিকা প্রকাশে খুবই খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।

Advertisement

আপার প্রাইমারি, নবম ও দশম, একাদশ ও দ্বাদশ, শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা – এই পাঁচ পর্যায়ের জন্য পরীক্ষা হয়েছিল। এবার নয়া নিয়মে হয়েছে পরীক্ষা। ছিল না ইন্টারভিউ, অ্যাকাডেমিক স্কোরও যোগ হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই তত্‍পরতা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষজনের মধ্যে সাড়া ফেলেছে বলে মত প্রার্থীদের একাংশের। এখন শুন্যপদ পূর্ণ করে নিজেদের ক্ষমতা ধিরে রাখতে চাইছে শাসকদল।

Recent Posts