দেশনিউজভাইরাল & ভিডিও

মাস্ক নাক থেকে নেমে যাওয়ায় বেধড়ক মার ২ পুলিসকর্মীর, ভিডিও ভাইরাল

Advertisement
Advertisement

সম্প্রতি দেশজুড়ে করোনা সংক্রমনের হার লাফিয়ে বাড়ছে। দৈনন্দিন আক্রান্তের করোনা গ্রাফ গগনচুম্বী।গোটা বিশ্ব এখনো করোনা প্যানডেমিকে জর্জরিত। সম্প্রতি ভারতজুড়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমনের পরিমাণ। গত বছরের মতোই আবারো মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। এমনকি এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দৈনন্দিন সংক্রমণের হার দেশজুড়ে ১ লাখ ছাড়িয়েছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এরই মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের ফের সরকার করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। আসলে বছরের শুরুর দিকে করোনার প্রকোপ কমাতে বেড়ে গিয়েছিল মানুষের মধ্যে অসচেতনতা।

Advertisement
Advertisement

বর্তমানে অনেকেই কোভিড বিধিকে অবজ্ঞা করে অসচেতনভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে তোয়াক্কা না করে মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাতেই দৈনিক সংক্রমণ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মুম্বাইতে নাইট কার্ফু ও সপ্তাহান্তে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও পুনে, দিল্লি ইত্যাদি শহরে নাইট কার্ফু শুরু হয়েছে। ইন্দরেও করোনা বিধি মানার জন্য নিয়ম জোরদার করেছে সরকার। তবে এরইমধ্যে ইন্দরে মাস্ক না পড়ার জন্য একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে গেছে।

Advertisement

ভাইরাস ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক অটোচালক তার মাস্ক নাকের নিচে পড়ার জন্য দুই পুলিশকর্মী তাকে পাকড়াও করেছে। তাকে ধরে থানাতে নিয়ে যেতে চাইলে সে যেতে চাইনি। আর তারপরই দুই পুলিশকর্মী ওই অটোচালকের উপর চড়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। পাশে অটোচালকের ছেলে অনেক অনুনয় বিনয় করলেও দুই পুলিশকর্মী তাকে তোয়াক্কা না করে প্রচন্ড মেরেছে ওই অটোচালককে। পাশাপাশি লোক জমা হয়ে গেলেও ঘটনার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেনি।

Advertisement
Advertisement

অটোচালকের নাম কৃষ্ণা কেয়ার। তার বয়স প্রায় ৩৫ বছর। মাস্ক নাকের নিচে নেমে যাওয়ার অপরাধে তাকে দুই পুলিশকর্মী কমল প্রজাপতি ও ধর্মেন্দ্র জাত বেধড়ক মারধর করেছিল। পুলিশের এমন অমানবিক রুপ দেখে লজ্জিত নেটিজেনবাসিরাও। প্রথমে ঘটনার জন্য 2 পুলিশকর্মীর কোন শাস্তি হয়নি। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে ইন্দোর পুলিশ।

Advertisement

Related Articles

Back to top button