ড্রোন হামলার পরেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত পুলিশ আধিকারিক, সঙ্গে মৃত্যু স্ত্রী এবং মেয়ের

ড্রোন হামলা ঘটার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণ হারান স্পেশাল পুলিশ অফিসার এবং তার স্ত্রী এবং কন্যা

Advertisement

Advertisement

জম্মু বিমানবন্দরে এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোন হামলা হওয়ার একদিন কাটতে না কাটতেই আবারো বড়োসড়ো বিপত্তি সেনাবাহিনীতে। জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন স্ত্রী এবং মেয়ে সহ পুলওয়ামার স্পেশাল পুলিশ অফিসার। জঙ্গিরা তার বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বলে জানা যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ড্রোন হামলার পরবর্তীতে তার শোধ তোলার জন্যই এই হামলা বলে মনে করছেন পুলিশ অধিকারিকরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর কাশ্মীরি জোনের পুলিশ অফিসার ফইয়াজ আহমেদ তার স্ত্রী রজা বেগম এবং তার ২৩ বছর বয়সী কন্যা রাফিয়াকে নিয়ে থাকতেন। জানা যায় রবিবার রাতে তিনি অবন্তীপুরার হরিপারী গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে হঠাৎ করে জঙ্গিরা আক্রমণ করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনজনের দিকে তাক করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গীরা।

Advertisement

ওই পুলিশ আধিকারিক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তারপরে তার স্ত্রী এবং মেয়েকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিন্তু আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার স্ত্রী এবং মেয়ে মারা যান। রবিবার রাতেই মারা গিয়েছিলেন তার স্ত্রী এবং সোমবার সকালে মারা যান তার কন্যা রাফিয়া। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তারা সম্পূর্ণ চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তারা বিফল। এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় নিরাপত্তা দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। ওই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে সারা এলাকায়।

Advertisement

অন্যদিকে কোন জঙ্গি সংগঠনের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনার দায় গ্রহণ করা হয়নি। তবে পুলিশের ধারণা শনিবার রাতে জম্মু বিমানবন্দরের এয়ারফোর্স স্টেশনে যে ড্রোন হামলা হয়েছিল তার সঙ্গে এই ঘটনার সম্পূর্ণ সাযুজ্য রয়েছে। শনিবার রাতে জম্মু বিমানবন্দরের এয়ারফোর্স স্টেশনে বিস্ফোরণ হয়েছিল, যেখানে আহত হয়েছিলেন দুজন। এই প্রথমবার বিস্ফোরক ছুঁড়তে এই ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ড্রোন হামলার পরেই পুলিশ সেখান থেকে ক্রুড বোমা উদ্ধার করে। তারপরে আবার পুলিশ অফিসারকে গুলি, সব মিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশে নাশকতা নিয়ে চিন্তায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।