আত্মনির্ভর ভারত মিশন আরও মজবুত হবে, বাজেট শেষে সীতারামনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী

Advertisement

Advertisement

নয়াদিল্লি: করোনা (Coronavirus) অতিমারির ধাক্কায় গত বছর দেশের অর্থনীতি জোর ধাক্কা খেয়েছিল। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে নতুন দশকে দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নতুন দশকের প্রথম বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) প্রাক্কালে এমনটাই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা  সীতারামনের (Nirmala Sitaraman,) ১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিটের বক্তৃতা শেষে বাজেটকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। সংস্কারমুখী ও সদর্থক বলেই ২০২১-২০২২ সালের বাজেটকে বর্ণনা করেন নরেন্দ্র মোদি।

Advertisement

আজ সোমবারের সাধারণ বাজেট দ্বিতীয় মোদি সরকারের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাজেট ছিল, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমজনতার হাতে বেশি নগদ জোগানোর জন্য কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তনের পথে হাঁটেননি নির্মলা। বরং বাংলা সহ দেশের কয়েকটি রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে উপহার হিসেবে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছে  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে।

Advertisement

নির্মলা সংসদে বাজেট পেশ করতে গিয়ে বলেন, ‘গত বছরের শুরুতে  রাজকোষে ঘাটতি ছিল ৩.৫ শতাংশ। সেটা এখন ৯.৬ শতাংশ ধরা হচ্ছে। কারণ, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির সময় সরকার ভাল কাজে খরচ করেছে। সেজন্য ঘাটতি হয়েছে। তবে সেই ঘাটতি আরও কমানোর লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। এরপরে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই ভিডিও বার্তায় বাজেটের প্রশংসা করে মোদি বলেন, ‘অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে ২০২১ সালের বাজেট পেশ করা হয়েছে। তাতে যথাযথ চিন্তাধারা আছে। আর উন্নয়নের বিশ্বাস আছে। এরকম বাজেট খুব কম দেখা যায়, যেখানে ঘোষণার এক-দু’ঘণ্টার মধ্যে এত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মেলে। অনেক বিশেষজ্ঞ ভেবেছিলেন যে, আমজনতার ওপর আমরা বোঝা চাপিয়ে দেব। কিন্তু আমরা স্বচ্ছ বাজেটের ওপর জোর দিয়েছি।’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, এই বাজেট পরিকাঠামো ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে। জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল বাজেট।  চাল, ডাল, গম কিনতে দ্বিগুণের বেশি বরাদ্দ হয়েছে। ভাবা হয়েছে কর্মসংস্থানের কথা। আশ্বাস দিয়েছেন,  করদাতাদের ওপর চাপ যত দূর সম্ভব কমাতে হবে। এতে দেশের আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার পথ নির্দেশ রয়েছে, এমনটাই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী।