গ্রহরাজ শনি : কর্মফলদাতা

Advertisement

Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, কুণাল রায় : সৌরমণ্ডলে মোট নটি গ্রহ আছে।এর মধ্যে গ্রহরাজ শনি অন্যতম। শনি গ্রহের চারপাশের এক বরফ নির্মিত রিং রয়েছে। শনি গ্রহ এক রাশিতে আড়াই বছর করে থাকে। শনি মূলত একটি শীতল গ্রহ। গবেষকদের গবেষণার কোন শেষ নেই এই গ্রহটিকে কেন্দ্র করে। দেবগুরু বৃহস্পতির পরেই এই গ্রহ সৌরমণ্ডলে উপস্থিত। তবে বলাবাহুল্য জ্যোতিষ মণ্ডলে এই গ্রহকে নিয়ে নানা আলোচনা ও বিশ্লেষণ চলতেই থাকে। সঠিক উত্তর এখনও অধরা। প্রকৃত অর্থে, গ্রহরাজের ব্যাপ্তি অসীম। এক রহস্যে আবৃত গ্রহ। কর্মফলদাতা রূপেও গ্রহরাজের খ্যাতি অসামান্য।

Advertisement

আমাদের জন্মছকে বা কোষ্ঠিতে, একাদশ ও দ্বাদশ পতি হলেন শনি মহারাজ। মূলত কুম্ভ ও মকর রাশির অধিপতি গ্রহ হচ্ছেন শনিদেব। তুলা রাশিতে তুঙ্গে বিরাজ করেন ও মেষ রাশিতে নীচস্ত। সূর্যদেব ও দেবী ছায়ার পুত্র শনি এক অতি বিশেষ স্থান তৈরি করেছেন আমাদের মাঝে। দেবাদিদেবের আশীর্বাদ ধন্য এই গ্রহের বক্র দৃষ্টির এক অনন্ত মহিমা বিদ্যমান। সদা সত্য, ন্যায়, সততা, শুদ্ধ চিন্তা, শুদ্ধ কর্ম ও সর্বোপরি কঠিন পরিশ্রম ও নিয়মানুবর্তিতা শনি মহারাজের ভীষণ প্রিয়। শনিদেব আমাদের শরীরের যত শুকনো পদার্থকে নির্দেশ করেন। তাই শনির গোচরের সময়ে শরীর ও স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল যে গ্রহরাজের মিত্র হলেন শুক্রদেব, বুধদেব। গুরু হলেন সমগ্রহ। মঙ্গল ও রবি ও চন্দ্র হলেন শত্রু গ্রহ।
শনিদেবের লীলা অনন্ত। শনির সাড়েসাতি শুনলেই এক ভয়ে ও আতঙ্ক যেন আমাদের মন মস্তিষ্কএ বাসা বাঁধে। কিন্তু আসলে এটি একটি “learning period”। জীবনে যা কিছু অর্জিত, তা পাপ বা পুণ্য হোক, এই শনির সাড়েসাতিতে জাতক বা জাতিকাকে ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে যায়। শনি তাঁর দ্বাদশ ঘরে গোচরের ফলে এই সময়টি শুরু হল। প্রথম চারণ দ্বাদশ ভাব। দ্বিতীয় চরণ যখন প্রথম ঘর , অর্থাৎ চন্দ্রের ওপরে নিজের প্রভাব বিস্তার করে, বিষ যোগ নির্মাণ করছেন এবং তৃতীয় চারণ, যখন গ্রহরাজের শিক্ষা সমাপ্ত হচ্ছে। মূলত তৃতীয়, সপ্তম ও নবম ঘরে গ্রহরাজের দৃষ্টি। কিন্তু এই ঘরগুলোর মধ্যে যদি দেবগুরু , বুধ বা শুক্রের হয়ে থাকে, তাহলে তাঁর দৃষ্টি নিষ্ফল অথবা অতি শুভ ফল প্রদান করে।

Advertisement

এক ভ্রান্ত ধারণা আছে যে এই সময় শুধুমাত্র দুঃখ, দুর্দশা, গ্লানি, ক্লেশ ও পীড়ন এর ভার বহন করতে হয়। শনি শুভ অবস্থাতে থাকলে, এই সময়ের এক জাতক বা জাতিকার জীবনে ইতিহাস রচনা করে। উদাহরণ স্বরূপ, ইন্দিরা গান্ধী ,আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও স্বামীজি। তবে গ্রহরাজের এই গোচর তেমন কোন প্রভাব ফেলে না, যদি শনির স্থান শুভ হয়, কোন শত্রু গ্রহের দ্বারা দৃষ্ট না হয়, তাঁর ওপর দেবগুরুর দৃষ্টি থাকে অথবা চন্দ্রের ওপর গুরুর দৃষ্টি রয়েছে অথবা দেবগুরু বা শুক্রদেবের দশা বর্তমান। তাই আপনার জন্মছক উত্তর দেবে আপনার সকল প্রশ্নের।

Advertisement

তাই গ্রহরাজকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। তিনি রাজযোগ কারক গ্রহও বটে! আগামী ২৪ জানুয়ারী তিনি তাঁর স্বক্ষেত্রে বিরাজ করবেন। শশ মহাযোগ সৃষ্টি হবে। নানাদিকে পরিবর্তন নির্দেশ করছে এই মহাজাগতিক পরিবর্তন। প্রায় তিন দশকের পরে এই বিরল ঘটনা ঘটতে চলেছে। তাঁর কৃপায় সকল কিছু শুভ হবে এই একমাত্র প্রত্যাশা!!

Recent Posts