‘অনাথ শিশুদের প্রয়োজন এখনই, ১৮ বছর অব্দি অপেক্ষা করতে হবে’, মোদিকে কটাক্ষ পিকের

Advertisement

Advertisement

গত বছরের মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাসের সংকট অভিশাপের মতো বিশ্ববাসীর জীবনে উপস্থিত হয়েছে। এই পরিস্থিতি চলতি বছরের শুরুর দিকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতের বুকে আছড়ে পড়ে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। এই ভাইরাসের প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের। অনেক শিশু হারিয়েছে তাদের মা-বাবাকে। তাই গতকাল নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন যে করোনায় মৃত মা-বাবাদের অনাথ সন্তানকে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে কেন্দ্র সরকার। এবার সেই বিষয়ে গলায় সুর তুললেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর।

Advertisement

গতকাল নরেন্দ্র মোদী টুইট করে কেন্দ্র সরকারের এই নতুন প্রকল্পের কথা জানায়। প্রকল্প অনুযায়ী, “করোনায় বাবা মা হারানো শিশুদের দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব কেন্দ্রের। তাদের পড়াশোনার জন্য সমস্ত খরচ করা হবে পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে। অনাথ শিশুদের বয়স ১৮ হলে তাদের প্রতি মাসে স্টাইপেন হিসেবে অর্থ সাহায্য করা হবে। তবে তা কত টাকা সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি। অন্যদিকে অনাথ হওয়ার বয়স ২৩ হলে তাদের এককালীন ১০ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য করা হবে। সমস্ত শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা পুরোপুরি বিনামূল্যে করে দেওয়া হবে। এছাড়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প অনুযায়ী ওই সমস্ত শিশুরা স্বাস্থ্য বিমা পাবে।”

Advertisement

মোদির এমন মাস্টারস্ট্রোকের বিরুদ্ধে আজ টুইটে ঝড় তুলেছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি মোট দুটি টুইট করে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন। প্রথম টুইটে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “অজস্র শিশু করোনার কারণে নিজের বাবা মাকে হারিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ সরকারের ব্যর্থতা যে করোনা এত ভয়াবহভাবে দেশের বুকে আছড়ে পড়েছে। এখন সহমর্মিতা দেখিয়ে ভালো মানুষ হতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। ওই অনাথ শিশুদের সাহায্যের প্রয়োজন এখনই। কিন্তু তারা এখন তা পাবে না। বদলে তাদের অপেক্ষা করতে হবে ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত। কি আজব না ব্যাপারখানা!”

Advertisement

এছাড়া পরবর্তী টুইটে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, *বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকার রয়েছে সংবিধানেই। কিন্তু ওই শিশুদের মোদির প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত যে তিনি সেই একই প্রতিশ্রুতি আবার নিজের মুখে দিচ্ছেন। এছাড়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের শিশুদের স্বাস্থ্য বীমা নিশ্চিত করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু প্রয়োজনের সময় এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাসপাতালে গেলে বেড বা অক্সিজেন কিছুই পাওয়া যায় না।”