দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান, অবশেষে উদ্বোধন হল ফুলবাগান মেট্রোর

Advertisement

Advertisement

কলকাতাঃ দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর আজ আবারও কলকাতার বুকে মেট্রোর উদ্বোধন হল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পথের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫ কিলোমিটার। আগামী কাল থেকে সকাল ৮টা থেকে যাত্রীদের জন্য পরিষেবা খুলে দেওয়া হবে নতুন পাতাল স্টেশনের। আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, “আজ কলকাতা মেট্রোর মুকুটে নয়া পালক যুক্ত হল। কলকাতার একপ্রান্তের সঙ্গে আরেক প্রান্ত জুড়বে এই মেট্রো। এই প্রকল্পে অনেক বাধা ছিল, কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা অসীম দক্ষতায় সব বাধা পেরিয়েছেন।”

Advertisement

এদিন ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, এছাড়াও ঞ্ছিলেনস্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডেও। এছাড়াও ছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু আমন্ত্রন পাননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।

Advertisement

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, “যাতে কোনও বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে পারে, তার জন্য সবরকমভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯-এর অগাস্টে যখন বউবাজার বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটল, তখনও ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী। মেট্রো নিয়ে এতো কিছুর পরেও আজ তাঁকে বাদ দিয়েই হতে চলেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান”।  সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে আবারও কেন্দ্রের প্রতি তৃণমূলের একটা নেতি বাচক প্রভাব পড়েছে।

Advertisement

শোনা গিয়েছে এর আগেও ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে একটা খারাপ সমস্যা বেধেছিলো।  এমনকি আজ এই খুশির দিনেও প্রকল্পে দেরির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয় রাজ্য সরকারকে। রাজ্য সরকারের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। বলেন, “ফুলবাগান মেট্রো প্রকল্প ত্বরান্বিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কারণে। কলকাতার মানুষের কথা ভেবেই কাজে গতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে।”

Recent Posts