স্টেশনে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বহু হকার, প্রতিবাদ যাত্রীদের

Advertisement

Advertisement

যাত্রীদের সুবিধার্থে বেড়ে চলেছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা। সাথে বাড়ছে রেল যাত্রী সংখ্যা ও। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্টেশনে ঢুকতে চেষ্টা করছেন বিভিন্ন হকার। তাদের জীবনের শেষ নেই বাধার। এটাই উপায় তাদের পরিবার চালানোর। আজ প্রবল বাধার মুখে পড়ে দলদল , সোনারপুর এবং বর্ধমানের মত স্টেশনে আন্দোলন শুরু করেছে হকাররা।

Advertisement

অনেক জায়গাতে স্টেশনে ধকতে না পেরে, তার মুখেই বসে গিয়েছেন হকাররা। হাওড়া, শিয়ালদহ এর গেটের মুখে, টানেল তথা সাবওয়ের ভিতরে দেখা যাচ্ছে একাধিক হকারকে। তারা মানছেন না কোনও স্বাস্থ্যবিধিও। সেই নিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। আজ স্টেশন চত্তরে যাত্রীদের সাথে হকারদের বচসাও বাঁধতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুরত্ববিধি তো দূরের কথা, যেখানে সেখানে ডালা সাজিয়ে বসে পড়ছেন হকাররা। কিছুজনের মুখে নেই মাস্ক ও। আবার কিছুজনের কাছে আছে মাস্ক, তবে তা মুখে পড়েননি, ঝুলিয়ে রেখেছেন গলায়। এই পরিস্থিতিতে খুব সহজে ছড়িয়ে পড়বে করোনা। হাওড়া আইএন্টিটিএউসি এর সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্যের মতে,”হকারদের মধ্যে নেই নিয়ন্ত্রণ বিধি। যাত্রীদের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা উচিৎ। অতিমারী ঠেকাতে হবে। তা ঠেকাতে নিতে হবে সব পথ।”

Advertisement

রবিবার হাওড়ায় এবং শিয়ালদহতে বেড়ে গিয়েছে ট্রেনের সংখ্যা। বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৯ এবং ৫৩১। মঙ্গলবার থেকে বেড়ে যাবে যাত্রী সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে হকারদের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনেও উঠে পড়ছেন অনেক হকার। যাত্রীদের মতে, বিধিগুলি হকাররা মেনে চললে অনেকটা কমে যাবে ঝুঁকি।