শাহ-নাড্ডার পর আজ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ শুভেন্দুর

যখন শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন তখন দিল্লি যাচ্ছেন অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ, এবং নিশীথ প্রামাণিক

Advertisement

Advertisement

ফের সক্রিয় শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবারে বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। গতকাল অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পরে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন তিনি বাংলার জন্য আশীর্বাদ চেয়ে এসেছেন, এবং বাংলার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ।

Advertisement

এবারে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করে বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তার কাছে দরবার করবেন শুভেন্দু অধিকারী। মে মাসে নির্বাচনে ভরাডুবির পরে বিজেপি নেতাদের অভিযোগ তাদের কর্মীদের ঘরছাড়া করে দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় তাদেরকে মারধোর এমনকি হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। গত রবিবার একজন শ্রমিক জয় প্রকাশ যাদব জগদ্দল এলাকায় বোমের আঘাতে মারা গিয়েছেন। বিজেপি দাবি করেছে, তিনি তাদের সমর্থক ছিলেন। যদি এই দাবী সত্যি হয় তাহলে ২ মে থেকে এখনো পর্যন্ত ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যুবরণ করা বিজেপি কর্মীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৭ এ গিয়ে।

Advertisement

তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ জানাচ্ছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণ করার সময় ৫ মে জানান, যে সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে সেই সময় রাজ্যের আইন ব্যবস্থা ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। এছাড়াও তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি যেখানে যেখানে জিতেছে সেখানে তৃণমূল কর্মীদের উপরে অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন ১৬ টি ঘটনা ঘটেছে ৩ মে তারিখে, যেখানে সেই সময় রাজ্য সরকারের হাতে আইন ব্যবস্থা ছিল না, নিয়ন্ত্রক ছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই সমস্ত যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ মমতা সরকারের হাতে ক্ষমতা আসার পরেও লাগাতার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।

Advertisement

রবিবার এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল দিল্লিতেও। তবে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ না, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও বিভিন্ন রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি, তবে সব থেকে বেশি ফোকাসে আছে এখন বাংলা। মঙ্গলবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে এই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেবে বিজেপি। এছাড়াও, বিজেপি রাজ্য স্তরের নেতারা বলছেন, তারা জেলা স্তরে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সঙ্গে সমস্ত বিষয়টি আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকের শুধুমাত্র ভোট-পরবর্তী হিংসা নয়, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজ্য সরকারের ভ্যাকসিন দুর্নীতি নিয়ে উল্লেখ করা রয়েছে। এছাড়াও দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২৩ জুন থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে তারা নিজেদের কর্মসূচি শুরু করবেন।

সমস্ত ঘটনাবলী নিয়ে রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন ১৮ জন বিজেপি সাংসদ। তাদের দাবি একটাই, রাষ্ট্রপতি শাসন। এই রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি নিয়ে বুধবার দিল্লি উড়ে গেলেন অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ, নিশীথ প্রামাণিক।

Recent Posts