শাসক শিবিরের শক্তিবৃদ্ধি, ৩০০ টি পরিবারের সদস্যদের নিজে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা

কালনায় বিজেপিতে কাজ করতে পারছেন না এমন অভিযোগ তুলে তৃণমূলে যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতা।

Advertisement

Advertisement

এ যেন এক উলটোপুরাণ। এতদিন মানুষের জন্য কাজ করতেন পারছেন না এমন অভিযোগ তুলে দল ছাড়ছিলেন একের পর এক শাসক শিবিরের নেতা মন্ত্রীরা। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় ঘটল ঠিক উলটো ঘটনা। দল থেকে কাজ করতে না পারার অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবির ছাড়লেন যুব মোর্চার এক নেতা। পদ্ম শিবিরের তিনশো জন পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে তিনি যোগ দিলেন শাসক শিবিরে।

Advertisement

সোমবার তথা আজ কালনা ২ নং ব্লকের বাদলা গ্রাম পঞ্চায়েত একালার প্রায় ৩০০ টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে শাসক শিবিরে যোগদান করে। যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা গোপাল ভট্টাচার্য। এই দিন কালনা ২ নং ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দেন দলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু ও ব্লক সভাপতি প্রণব রায়। তৃণমূলে যোগ দিয়ে গোপালবাবু বলেন, “বিজেপি দলটায় নোংরামিতে ভরে গিয়েছে। ভাল মানুষ ওই দলে থাকতে পারে না। বিজেপিতে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে কর্মযজ্ঞে শামিল হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।”

Advertisement

এদিন পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী গোপাল ভট্টাচার্য। ক্ষমতায় না এসেই ওই দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে বলেই কটাক্ষ তার। প্রতিবাদ করায় তাকে কার্যত কোণঠাসা করে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি। তার অভিযোগ, “বিজেপিতে এখন তিনটি গোষ্ঠী। চরম দ্বন্দ্ব চলছে তাদের মধ্যে।” কিছুদিন আগে কালনার শাসক শিবিরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বিজেপিতে যোগদান করেন। এবার বিজেপির নেতা ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন। তৃণমূলের রাজ্যের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, “কালনা বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে। কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্ত ছাড়া কেউ বিজেপিতে থাকবে না।” ওই ব্লকের বিজেপি নেতা সুভাষ পাল পাল্টা বলেন, “ওই নেতাকে আগেই আমদের দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওর সঙ্গে ৩০০ কেন ৩টে লোকও নেই।”

Advertisement