আপনি কি আপনার আধার কার্ডে আরও সিম ইস্যু করেছেন? এক্ষেত্রে ৩ বছরের জেল ও ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার জালিয়াতি রোধ করার জন্য টেলিযোগাযোগ আইন ২০২৩ প্রয়োগ করেছে, যার অধীনে সিম কার্ডগুলি সীমিত সংখ্যায় রাখা যেতে পারে। এমনটা না করলে জেলে যাওয়ার পাশাপাশি জরিমানাও দিতে হতে পারে। আসুন এ সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সিম কার্ড ধারণের সর্বোচ্চ সীমা ৯। অর্থাৎ একটি আধার কার্ডে সর্বোচ্চ ৯টি সিম কার্ড ইস্যু করা যাবে। তবে জম্মু-কাশ্মীর, আসামের মতো স্পর্শকাতর রাজ্যে সিম রাখার সীমা কমিয়ে ৬ করা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআপনি যদি এই নিয়ম ভঙ্গ করেন তবে আইনি এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। প্রথমবার কেউ নিয়ম ভাঙলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। বারবার এই নিয়ম ভাঙলে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এর বেশি সিম রাখলে কারাদণ্ডের কোনো বিধান আইনে নেই। তবে, যদি আপনার নামে জারি করা সিম কার্ডটি আর্থিক বা অপরাধমূলক কার্যকলাপের কারণ হয় তখন আপনার তিন বছরের জেল হতে পারে। একই সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা ও জেলও হতে পারে।
আপনার আধার কার্ডে ইস্যু করা সিম কার্ডটি সনাক্ত করা যেতে পারে। এছাড়াও, যদি আপনার নামে জারি করা সিম কার্ড থেকে অবৈধ কার্যকলাপ থাকে তবে এটি ট্র্যাক এবং বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে পারে। এর জন্য টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (ডট) দ্বারা একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে জারি করা জাল সিম কার্ডগুলি সনাক্ত করা যেতে পারে।
কীভাবে নকল সিম কার্ড শনাক্ত করা হবে?
- নকল সিম কার্ড শনাক্ত করতে হলে প্রথমে ভিজিট করতে হবে সঞ্চার সাথী পোর্টাল www.sancharsathi.gov.in।
- এর পর হোম পেজে যেতে হবে, যেখানে আপনাকে মোবাইল কানেকশন অপশনে যেতে হবে।
- এর পর একটি দশ সংখ্যার মোবাইল নম্বর লিখতে হবে, যা আপনার আধার কার্ডের সাথে যুক্ত।
- এর পর ক্যাপচা কোড লিখতে হবে। আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে, যা থেকে মোবাইল নম্বরটি যাচাই করতে হবে।
- এর পর একটি নতুন পেজ আসবে, যেখান থেকে নকল সিম ব্লক করা যাবে।