করোনা থেকে মুক্তি পেতে শুধু লকডাউন নয়, বিধিনিষেধ উঠে গেলে ফিরে আসতে পারে, জানালো WHO

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : গোটা বিশ্ববাসী আতঙ্কে আতঙ্কিত করোনাভাইরাস এর জন্য। চীন, ইতালিতে একেবারে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। সারি দেওয়া ট্রাক ভর্তি শুধু মৃতদেহে। এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে শিক্ষা নিতে ভারতবর্ষে করা হল জনতা কারফিউ। মানুষের যাতে সংযোগ কম হয়, সেজন্যই এমন ব্যবস্থা নেওয়া। কারণ এই ভাইরাসটি এতটাই ছোঁয়াচে যে মানুষটি রোগে আক্রান্ত তার সংস্পর্শে থাকলেই ছড়িয়ে পড়ছে সাংঘাতিকভাবে।

Advertisement

কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, শুধুমাত্র লকডাউন করলেই এর সমাধান হবে না। কারণ যে মুহূর্তে লকডাউন উঠে যাবে সেই মুহূর্তে মানুষ আবার এক জায়গায় জড়ো হয়ে কাজকর্ম করা শুরু করলেই আবারো ফিরে আসতে পারে মারণ ভাইরাস।WHO এর কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর মাইক রিয়ান জানিয়েছেন, আপাতত লকডাউন এর মাধ্যমে এই সমস্যার খানিকটা সমাধান হলেও, চিরস্থায়ী সমাধান হবে না।

Advertisement

আরও পড়ুন : ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ভারতে ৪১৮, শীর্ষে মহারাষ্ট্রে

Advertisement

জোর দিতে হবে জনসাস্থ্য পরীক্ষার ওপরে। যারা শারীরিকভাবে দুর্বল এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তাদেরকে বিশেষ আইসোলেশন এর ব্যবস্থা এই মুহূর্তে ভীষণ প্রয়োজন। সেইসঙ্গে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা যারা যেখানে যেখানে এসেছেন প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বিশেষ প্রয়োজনীয়। এবং তাদেরকে একদম আলাদা করে আইসোলেট করতে হবে।

এশিয়ার পরিবর্তে ইউরোপ এখন করোনা মহামারীর কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলেও জানিয়েছে WHO। ভারতে প্রাণ হারিয়েছে সাত জন মানুষ। সংখ্যাটা এখন যথেষ্ট কম কিন্তু আমরা যদি একটু চিন আর ইতালির দিকে তাকাই সেখানেও প্রথমদিকে সংখ্যাটা এইরকমই কম ছিল, তারপরে মানুষ ভাবতে পারিনি, হুহু করে সংখ্যাটা বেড়ে গেছে।

গুজবে কান দেবেন না অযথা আতঙ্কিত হবেন না। বাড়িতে থাকুন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে সাতাশ এ মার্চ রাত বারোটা পর্যন্ত কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানের লকডাউন চলবে।

Tags: corona virus