দেশনিউজ

নির্যাতিতা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি, হাথরস কান্ডে সুপ্রিমকোর্টকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার

Advertisement
Advertisement

উত্তরপ্রদেশ: হাথরস কান্ডে নয়া মোড়। পুরো ঘটনা সাজানো। সবটাই রাজ্যকে বদনাম করার একটা প্রবনতা বিরোধী শিবিরের। নির্যাতিতা তরুণীর শরীরে কোনওরকম ধর্ষণের উল্লেখ পাওয়া যায়নি কোনও রিপোর্টে। এমনটাই সুপ্রিমকোর্টকে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। JJ হাসপাতালের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। তবে সেখানে নেই ধর্ষণের উল্লেখ। এমনকি এর আগেও নির্যাতিতা তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ পাওয়া যায়নি ধর্ষণের। সেখানে গলায় ফাঁসের দাগ পাওয়া গিয়েছিল। যা প্রমাণ করেছিল যে, নির্যাতিত তরুণীকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। তবে ধর্ষণ করা হয়নি বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। আর এবার সেই একই রিপোর্ট প্রকাশ করল JJ হাসপাতাল।

Advertisement
Advertisement

নির্যাতিতা তরুনীর শরীরের নমুনা পাঠানো হয়েছিল FSL-এও। কিন্তু সেখানেও একই কথা বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টে ধর্ষণের কোনওরকম উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তাহলে কি ধর্ষণ সত্যি হয়নি? নাকি পুরোটাই উত্তরপ্রদেশ সরকার দ্বারা চালিত একটি রিপোর্ট, যা মানুষকে আরও বিভ্রান্ত করছে? এই সকল প্রশ্নই এখন রাজনৈতিক মহলে ঘোরাফেরা করছে।

Advertisement

কিন্তু যদি সত্যি কোনও ধর্ষণজনিত ঘটনা না ঘটে থাকে, তাহলে নির্যাতিতা তরুণীর দেহ রাতের অন্ধকারে শেষকৃত্য করা হয়েছিল কেন? তাও আবার তার পরিবারের অনুপস্থিতিতে। এই প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু তার উত্তর দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, অশান্তি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কারণ, নির্যাতিতা তরুণীর যখন দিল্লির সফরদজৎ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তখন সেই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর শেষকৃত্যের সময় যাতে কোনও অশান্তি সৃষ্টি না হয়, সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতা তরুণীর দেহ শেষকৃত্য করেছিল বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে তত হাথরস কান্ড নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে, তা বলাই যায়। পরবর্তী সময়ে ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকেই নজর থাকবে গোটা দেশের।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button