Categories: দেশনিউজ

নির্ভয়ার আইনজীবীকে হাথরসের মামলায় হস্তক্ষেপ করতে দিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

Advertisement

Advertisement

নির্ভয়ার পর এবার হাথরসের তরুনীর হয়ে  লড়াই করতে চাইছেন সীমা। কিন্তু তাঁকে পরিবারের সঙ্গে দেখাই করতে দেওয়া হচ্ছেনা, বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।  নাসীমা জানিয়েছেন, “যতক্ষণ না হাতরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে আমাদের দেখা করতে না দেওয়া হয় আমি হাথরস ছেড়ে কোথাও যাবো না। পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে তাঁদের হয়ে মামলা লড়তে অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ আমাকে যেতেই দিচ্ছে না পরিবারের মানুষদের কাছে।

Advertisement

তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না। কিন্তু আমিও নাছোড়বান্দা। যতক্ষণ না আমার সঙ্গে ওঁদের দেখা হচ্ছে, ততক্ষণ আমি এই এলাকা ছেড়ে কোথাও যাবো না”। ইতিমধ্যেই হাথরস ধর্ষণ কান্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সারা ভারত। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কার্যত গ্রেফতার হয়েছেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর এবার হাথরসের পথে তৃণমূলের সাংসদের দলের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। দফায় দফায় সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে আজ সকালেই হাথরসে আটকানো হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ানকে হেনস্থা করা হয়েছে। এমনকি নির্যাতিতার গ্রামে সংবাদমাধ্যমকেও কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাতরসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়।

Advertisement

ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম।