রাজ্যে ফের চালু হলো কনটেইনমেন্ট জোন, দেখুন কোন কোন এলাকাগুলি এলো এই জোনের আওতায়

বর্তমানে সোনারপুর থেকে শুরু করে গোসাবা এবং অন্যান্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনাভাইরাস এর প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকার কারণে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে

Advertisement

Advertisement

করোনাভাইরাস এর প্রভাব ধীরে ধীরে আবারো বাড়তে শুরু করেছে বলেই জানাচ্ছি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। এই কারণেই করোনার প্রভাব কমানোর জন্য রাজ্যের একাধিক জেলায় ঘোষণা করে দেওয়া হচ্ছে কনটেইনমেন্ট জোন এর। গোসাবা থেকে শুরু করে ক্যানিং এবং অন্যান্য জায়গাতেও যেরকম ভাবে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে, ঠিক সেরকমভাবেই কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম শহর সোনারপুর।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানাচ্ছে, করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচার জন্যই এই তৎপরতা গ্রহণ করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৫৬টি এলাকাকে করোনা ভাইরাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। এই এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ড। এছাড়া রয়েছে গোসাবা, কাশিপুর, লেদার কমপ্লেক্স এবং ক্যানিংয়ের একাধিক এলাকা।

Advertisement

সমস্ত কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে দিয়ে যাওয়া-আসা সম্পূর্ণরূপে আটকে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে বের হতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিলি করছেন। পাশাপাশি প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন আশা কর্মীরা।

Advertisement

সূত্রের খবর অনুযায়ী সোনারপুরে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্য ৫০ এর কাছাকাছি। ইতিমধ্যে একাধিক ওয়ার্ডে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। এছাড়াও গোসাবায় জেটিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। অন্যান্য প্রত্যন্ত এলাকাতেও ধীরে ধীরে করোনাভাইরাস এর প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। সেই সমস্ত জায়গায় তৈরি করা হয়েছে কনটেইনমেন্ট এলাকা। রাজ্য সরকারের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সম্পূর্ণরূপে সচেতন হয়ে উঠেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Recent Posts