গত 6 ই মার্চ ছিল নেহা কক্কর (Neha kakkar)-এর জন্মদিন। জন্মদিনে নেহাকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী রোহনপ্রীত সিং (Rohanpreet singh)। এছাড়াও নেহার অনুরাগীরাও নেহাকে অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়েছিলেন। এরকম এক জন্মদিনে নেহার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সামনে এনেছিলেন নেহার দাদা টনি কক্কর (Tony Kakkar)। টনি জানালেন, নেহাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন নেহার মা-বাবা।
সময়টা ছিল 1987 সালের শেষের দিক। দারিদ্র্যের মধ্যে এক মেয়ে সোনু (sonu kakkar) ও এক ছেলে টনির জন্ম দিয়েছেন কক্কর-দম্পতি। এরপর তাঁরা আর কোনো সন্তান চাননি। কারণ ক্রমশ তাঁদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই নেহার মা জানতে পেরেছিলেন, তিনি তৃতীয়বার মা হতে চলেছেন। এত আর্থিক কষ্টের মধ্যে নেহার মা-বাবা চাননি, তাঁদের পরিবারে আরও এক নতুন অতিথি আসুক।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowফলে নেহার মা গর্ভপাত করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ততদিনে আটমাস পেরিয়ে গিয়েছে। কোনো পূর্ণগর্ভা মায়ের গর্ভপাত করানো সম্ভব নয়। ফলে 1988 সালের 6 ই মার্চ নেহার জন্ম হয়েছিল। শৈশব থেকেই নিদারুণ দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন নেহা-সোনু-টনি। একসময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভজন গেয়ে সংসার চালিয়েছেন সোনু ও নেহা।
দিদি সোনুর কাছেই নেহার সঙ্গীতশিক্ষা। অনেকেই ভাবেন, নেহার ভাগ্য বদলে দিয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান আইডল’। কিন্তু ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর পর নেহাও হারিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর হাতে কাজ ছিল না। একসময় নিজের কন্ঠকে তৈরী করে ‘রিমেক কুইন’ হিসাবে বলিউডে ফিরে আসেন নেহা। যে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে তাঁকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল, ভাগ্যের ফেরে সেই ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর বিচারকের আসনে বসেছেন নেহা। বহু দরিদ্র শিল্পীকে আর্থিক সাহায্য করেছেন নেহা। কারণ তিনি ভুলে যাননি শুরুর দিনগুলি।