বাজারদররাজ্য

West Bengal: নাম ছাতা মুরুলি, সাগর দ্বীপে জালে উঠল ১৬০ কেজির বিরাট ‘দানব’! বিক্রি হল ২৩ হাজার টাকাতে

Advertisement
Advertisement

রোজকার মতো মৎস্যজীবি শঙ্কর ট্রলার থেকে জাল ফেললো নদীতে ফেললো। এরপর গোটা জালে বেঁধে গেল এক দৈতাকার এক মাছ। আর সেটাকে টেনে তুলতে রীতিমত হিমশিম খেয়ে যায় উপস্থিত সকল মৎস্যজীবীরা। এরপর অতিকষ্টে টেনে তুলতেই দেখা গেল জালে বেঁধেছে এক দৈত্যাকৃতির ছাতাকৃতি মাছ। আর যা দেখে, মুহূর্তেই চিনতে পারে মৎস্যজীবীরা। প্রথমটায় না বুঝতে পারলেও, পরে তোলার পর মৎস্যজীবীরা ভালো করে খুঁটিয়ে দেখে চিনতে পারলো।

Advertisement
Advertisement

প্রথমটায় না বুঝতে পারলেও, পরে তোলার পর মৎস্যজীবীরা ভালো করে দেখেন সেটি ছাতা মুরুলি মাছ। শংকর মাছেরই এক প্রজাতিকে স্থানীয়রা বলে ছাতা মুরুলি মাছ। তিন মৎস্যজীবী মিলে ট্রলারে করে হুগলি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে শান্তনু দাস নামে এক মৎস্যজীবীর জালেই ধরা পরে এই মাছ। এই
একটা মাছের ওজনই ১ কুইন্টাল ৫৯ কেজি। অর্থাৎ, প্রায় ১৬০ কেজি। আর সেই মাছটি জালে উঠতে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় মৎসজীবীদের।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

এই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর দ্বীপের মহিষমারীতে।নদী থেকে মাছটি তুলে মহিষামারীর হাতি পিটিয়া ঘাটে এরপর মাছটিকে নিয়ে আসা হয়। এরপর গোটা এলাকার মানুষ সেই মাছ দেখতে চলে আসেন। এরপর মাছটিকে কাকদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানেই নিলামে মাছটি ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এত হাজার টাকাতে কলকাতার এক পাইকারি ব্যবসায়ী সেই মাছটি কিনে নেন।

বৃহস্পতিবার সকালে দুই বন্ধুর সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবী শান্তনু দাস। আর তিনজনই আলাদা আলাদা করে জলে জাল ফেলেন। কিন্তু শান্তনু বাবু বুঝতে পারেন, তাঁর জালে বিশালাকার কোনও মাছ ধরা পড়েছে তাঁর জালে। এরপর জাল উপরে ওঠাতেই দেখা মিলল সেই ‘দানব’ মাছের। এরপর স্থানীয় মৎস্যজীবীরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এত বড় ছাতা মুরুলি মাছ সচরাচর ওঠে না। এই মাছ একপ্রকার বিরল প্রজাতিরই। সেই কারণেই মাছটির দাম উঠেছে অনেকটাই। তাই মাছটির এত বেশি দাম ওঠায় স্বভাবতই আপ্লুত ওই মৎস্যজীবী। নতুন বছরে এত টাকায় মাছ বিক্রি করতে পেতে মৎস্যজীবী বেশ আনন্দিত।

Advertisement

Related Articles

Back to top button