‘বাংলায় সরকার গড়লে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে ভূমিপুত্র’, কাঁথি সভা থেকে বার্তা মোদির

মোদি জোর গলায় দাবি করেছেন যে বিজেপি সরকার বাংলায় এলে বাংলার ভূমিপুত্র মুখ্যমন্ত্রী হবে

Advertisement

Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবির পুর্নোদ্দমে ভোট প্রচারের কাজে মাঠে নেমে পড়েছে। আজ বুধবার বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি কাঁথি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যু নিয়ে গলায় সুর তুললেন। তৃণমূলের বহিরাগত ইস্যু প্রসঙ্গে পাল্টা কটাক্ষ করে মোদি বলেছেন, “কবিগুরুর এই বাংলা কাউকে বহিরাগত মনে করে না।” এছাড়াও তিনি শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে “বাঙালি বনাম গুজরাটি” বা “বাঙালি বনাম দিল্লির” লড়াই হিসেবে তুলে ধরছেন। এরকম অরাজকতা চলতে দেওয়া চলবে না। অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বা তৃণমূলের খেলা শেষ। আসল পরিবর্তন আসবে বাংলায়। বাংলার বাচ্চারাও ওদের খেলা ধরে ফেলেছে। আপনি খেলা করবেন আমরা সেবা করব। সেবাই আমাদের একমাত্র ধর্ম।”

Advertisement

এছাড়াও এদিন প্রধানমন্ত্রী জোর গলায় দাবি করেছেন, “এই পবিত্র বঙ্গভূমি দেখতেও বহিরাগত নয়। যে মাটিতে রাজা রামমোহন রায়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাতঙ্গিনী হাজরা, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মেছেন, সেই মাটিতে কেউ বহিরাগত হতে পারে না। বাঙালি সবাইকে আপন করে নেয়। এটাই তাদের ধর্ম। এখানে কোন ভারতবাসী বহিরাগত নয়।” সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী হুংকার দিয়ে বলেছেন, “বিজেপি নির্বাচনের পর বাংলায় সরকার গড়লে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবে ভূমিপুত্র।” এখানেই থেমে যায়নি প্রধানমন্ত্রী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, “গত ১০ বছরে কি কাজ করেছেন? তার হিসাব দিতে পারবেন? হিসাব চাইলে তাকে গালি দিচ্ছেন কেন?”

Advertisement

সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত জনতাকে বিজেপির উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে গেরুয়া শিবিরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “দরকারে দিদির দেখা পাওয়া যায় না। আর ভোটের আগে শুরু করেছে দুয়ারে সরকার। এই খেলা সবাই ধরে ফেলেছে। ২ মে বাংলার মানুষ দিদিকে দুয়ার দেখাবে। বাংলার লোকেরা দরজা দেখিয়ে দেবে। এখন মা-বোনেরা রাস্তায় বেরিয়ে আসে তৃণমূলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। বাংলায় চাই শিক্ষা, শিল্প, নারী সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, কর্মচারী সম্মান প্রভৃতি। তৃণমূল কংগ্রেসে গুলো কখনোই দেবে না।” সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী দলীয় কর্মীদের জন্য ভোটের আগে নতুন স্লোগান বেঁধে বলেছেন, “বাংলার দরকার, বিজেপি সরকার।”

Advertisement