শ্রদ্ধার আঙিনায় রাজনৈতিক তরজা, একুশের ভোটের আগে নেতাজিকে নিয়ে টুইট যুদ্ধ মোদি-মমতার

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী (Netaji’s 125th Birth Aniversary) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ‘দেশনায়ক দিবস’ বনাম ‘পরাক্রম দিবস’ নিয়ে রাজনৈতিক তরজায় নেমেছে তৃণমূল (TMC)-বিজেপি (BJP)। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের আগে নেতাজি নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। যার পাল্টা দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অতীতের পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিলেন, নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে আগে কী কী করেছে মোদি সরকার।

Advertisement

এদিন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে মোদির পরাক্রম দিবসের সূচনা নিয়ে সূচি দেওয়া হয়। যেখানে কলকাতায় মোদীর সফরসূচির পাশাপাশি রয়েছে অতীতের পরিসংখ্যান। ষেখানে দেখানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ সালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কিত ১০০টি ফাইল প্রকাশ্য়ে আনে মোদী সরকার। সেগুলির ডিজিটালাইজ করা হয় এই বর্তমান সরকারের আমলেই।

Advertisement

Advertisement

এখানেই শেষ নয়। ভারতে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রথম তেরঙা পতাকা তোলেন নেতাজি। ২০১৮ সালে সুভাষ চন্দ্রের এই পতাকা উত্তোলনের ৭৫ তম বর্ষ উৎযাপন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও রস আইল্যান্ডের নাম বদলে রাখা হয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বীপ। আরও দুটি দ্বীপের পুনরায় নামকরণ হয়। হ্যাবলক দ্বীপের নাম বদলে দেওয়া হয় স্বরাজ দ্বীপ। পাশাপাশি নেল আইল্যান্ডের নতুন নামকরণ হয় শহিদ দ্বীপ। এছাড়াও আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর উপলক্ষ্য়ে লালকেল্লায় সুভাষ চন্দ্র বসুর নামে মিউজিয়াম তৈরি করে ভারত সরকার।

নরেন্দ্র মোদি যখন নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে পরিসংখ্যান দিচ্ছেন, তখন পিছিয়ে থাকেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। অতীতের কথা না বলে, নেতাজি শ্রদ্ধায় ভবিষ্যতের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বছরব্যাপী ‘দেশনায়ক দিবস’ পালন করবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে একটি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এখানেই থেমে থাকেনি মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে, রাজারহাটে আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে গড়া হবে মনুমেন্ট। নেতাজির নামে গড়ে তোলা হবে বিশ্ববিদ্যালয়। যার পুরো টাকা দেবে রাজ্য সরকার।