বাবরি মসজিদ ভাঙার কথা কেউ ভুলে যায়নি, সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের পাশেই আছে,বক্তব্য ত্বহা সিদ্দিকির

Advertisement

Advertisement

“সাম্প্রদায়িক দল বিজেপি। বাংলার সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে তারা। ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। বাংলার মানুষ ওদের মানবেনা। ঝেঁটিয়ে বিদায় করবে ওদের। আগামী নির্বাচনে আবারও সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা ব্যানার্জিই।” বৃহস্পতিবার এমনটাই শোনা গেল ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির মুখে।

Advertisement

ওইদিন ত্বহা বলেন,”কংগ্রেস-সিপিএম আর নেই। কোমায় চলে গেছে। অধীর চৌধুরী ও আবদুল মান্নান আমার সাথে দেখা করার জন্য কিছু সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাঙরে আগে থেকেই আমার কর্মসূচি ঠিক ছিল। আমি ওনাদের এড়িয়ে যাইনি। জানিয়ে দিয়েছিলাম আমি। তা সত্ত্বেও ওনারা দেখা করেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকির সাথে । শুনলাম, আব্বাস নাকি বলেছেন নতুন দল করবেন। পারবেন না, কিছুই করতে পারবেন না। উনি একজন পুতুল মাত্র। চাবি দিলেই ঘুরতে শুরু করেন। বাংলার রাজনীতি এত সহজ নয়। রামকৃষ্ণের মাটি এটা। বিবেকানন্দ নজরুলের মাটি। এই পবিত্র মাটিতে বিজেপি যে রাজনীতি শুরু করেছে, তা ওদের আগামী নির্বাচনে সফল করতে পারবেনা। বাংলায় হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই হয়ে থাকে। ছোট থেকেই তাই দেখছি। বিজেপিরা বহিরাগত নিয়ে এসেছে। তাদের সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছে। বাংলা তাদের কাছে অপরিচিত। মনীষীদের নাম পর্যন্ত জানেন না তারা। এ রাজ্যের আইন অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক ভালো। কেবল অশান্তি করতে চাইছে ওরা।”

Advertisement

এই দিন ত্বহা সিদ্দিকি আরও বলেন,”বিজেপি হিন্দু মুসলিম ভাইদের মাঝে প্রাচীর তৈরি করছে। এই প্রাচীর ভেঙে দেবে এখানকার মানুষ। বাংলার পরিবেশ বাকি রাজ্যের থেকে আলাদা। টাকা খরচ করে তো আর বাংলা দখল হয়না।”

Advertisement

এখানেই থামননি তিনি। অন্যদিকে এইদিন তাকে বাক্যবাণ ছুঁড়তে দেখা গেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দিকে। তার বক্তব্য,”রাজ্যপাল বিজেপির নেতাদের মতো আচরণ করছেন। নিজের কাজ না করে তিনি শুরু সমালোচনা করেন। কি হবে এই সব করে ? কিছুই হবেনা। এতে ওনার উদ্দেশ্য টা ঠিক পরিষ্কার নয়। বয়েস তো হয়েছে। কি পাওয়ার জন্য তিনি এইসব করছেন? সব ধর্মের লোকেরা ভাইয়ের মতো বাস করছেন বাংলাতে। সংখ্যালঘুরা পাশে আছে তৃণমূলের। বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা কেউ ভুলে যায়নি।”

Recent Posts