লোকাল ট্রেন চালু হলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবে কে? SOP তৈরি শুরু রেল রাজ্যের

Advertisement

Advertisement

রাজ্যে মার্চ মাস থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার পর অবশেষে রেল রাজ্য দফায় দফায় কি করে লোকাল ট্রেন চালানো যাবে সেই নিয়ে বৈঠক করছে। লোকাল ট্রেন চালুর আগে রেল ও রাজ্য উভয়ই একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) তৈরি করার চেষ্টা করছে। এইজন্য রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র সচিবের সাথে বৈঠক করেছেন পূর্ব রেলের এজিএম ও সেই সাথে হাওড়া, শিয়ালদহ ও খড়্গপুরের ডিআরএম রাও।

Advertisement

প্রাথমিকভাবে রাজ্য অফিস টাইমে সকাল-বিকেল মিলিয়ে হাওড়া ও শিয়ালদহে ২১০ টি লোকাল ট্রেন চালানো যায় নাকি জানতে চেয়েছিল রেলের কাছে। সেই প্রস্তাবে রেল সম্মতি জানিয়েছে। তবে অফিস টাইম ছাড়া অন্য সময়ে কতসংখ্যক ট্রেন চলবে তা স্থির করতে হবে রেলকে। কিন্তু ট্রেনের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করা গেলেও অত বেশি সংখ্যক যাত্রীকে অত কম সংখ্যক আরপিএফ কি করে নিয়ন্ত্রণ করবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।

Advertisement

এই করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়িয়ে ট্রেন চালাতে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনের প্রয়োজন। এইজন্যই বারবার রেল ও রাজ্য বৈঠক করছে। তবে এতদিন স্পেশাল ট্রেন চালায় হাওড়া ও শিয়ালদার মত বড় স্টেশন গুলিতে যাত্রীদের ঢোকা বা বেরোনোর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে রেলের কাছে। কিন্তু বিধাননগর,দমদম, ব্যারাকপুর, সোদপুর,বারাসত, নৈহাটি, বালি, রিষড়া, শ্রীরামপুর ও চন্দননগরের মতো স্টেশন থেকে যত সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করে তা নিয়ন্ত্রণ করাই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ উভয় পক্ষের কাছে।

Advertisement

রেলসাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা ট্রেন চালানোর ব্যাপার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও যদি ট্রেনে ৬০০ জনের বেশি যাত্রী হয়ে যায় তাহলে সেই ভিড় সামলানোর দায়িত্ব রাজ্যকে নিতে হবে। রেলের অত কমসংখ্যক আরপিএফ কোভিড প্রটোকল মেনে হয়তো ভিড় সামলাতে পারবে না। সেই জন্য রেল রাজ্যের কাছ থেকে অতিরিক্ত জিআরপি ও রাজ্য পুলিশ চেয়ে পাঠিয়েছে। এরপর কোন স্টেশনে কোন সময় কত সংখ্যক যাত্রী আসতে পারে সেই পরিসংখ্যান নিয়ে রেল প্রাথমিকভাবে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) তৈরি করবে। এরপর কালকের রেল রাজ্য বৈঠকে চূড়ান্ত কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটাই দেখার।