টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন বাবুল সুপ্রিয়, বিপক্ষে থাকছে তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাস

টালিগঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাস, বিজেপির বাবুল সুপ্রিয় ও বামেদের দেবদূত ঘোষ একুশে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে পারে

Advertisement

Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এবার নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন মোট ৮ দফায় সম্পন্ন হবে। সেইমতো রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ২৯৪ কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির এখন অব্দি প্রথম দুই দফা ভোট অর্থাৎ ৬০ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। তবে এবার বিজেপি সূত্রের খবর, টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে গেরুয়া শিবিরের হয়ে নির্বাচনে লড়বেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসনসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে এই টালিগঞ্জ কেন্দ্রের মমতাবাহিনীর হয়ে লড়বেন রাজ্যের বর্তমান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়া বামেদের শক্ত ঘাঁটি এই কেন্দ্রে লড়ছেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। এবার বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতা যে একটি হেভিওয়েট নির্বাচনী লড়াই দেখতে চলেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

Advertisement

গতকাল গভীর রাতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবার টালিগঞ্জ কেন্দ্রে গেরুয়া সৈনিক হবে বাবুল সুপ্রিয়। আসলে গতকাল বিজেপি তাদের বাকি ছয় দফা ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করার জন্য দিনভর বৈঠক করে। সেই বৈঠকে যেমন একদিকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্যরা ও ঠিক অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিজেপি কোর কমিটির সদস্যরা। তারাই টালিগঞ্জ কেন্দ্রে বাবুল সুপ্রিয়র নাম সুপারিশ করে। তবে সমস্তটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এখন অব্দি বিজেপির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। দিল্লির বৈঠকের পর বিজেপি যতক্ষণ না অব্দি তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে ততক্ষণ জানা যাবে না কে কোথাকার প্রার্থী হতে চলেছে।

Advertisement

অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয় এই ব্যাপারে মুখ খোলেননি। তিনি আগেই বলেছিলেন দল আমাকে যেকোন জায়গায় প্রার্থী করতে চাইলে আমার কোন আপত্তি নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন জল্পনা চলছিল যে মমতার পুরনো ভবানীপুর কেন্দ্রে বিজেপি সৈনিক হিসেবে লড়বেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে পরবর্তীতে তা বাতিল করে দেয়া হয়। এরপর দীর্ঘ শিবির যখন তাদের বাকি ২৩৪ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে তখনই বোঝা যাবে রাজ্যের কোন প্রান্তে কোন নেতা গেরুয়া ঝড় তুলতে চলেছে।

Advertisement