‘দেশ কি বেটি’ বনাম ‘কন্যাশ্রী’, জাতীয় কন্যাদিবসে টুইট যুদ্ধ মোদী-মমতার

টুইটের মাধ্যমে জাতীয় কন্যাদিবসের বিষয়ে যুদ্ধ মোদী(Modi)-মমতার (Mamata Banerjee)

Advertisement

Advertisement

জাতীয় কন্যাসন্তান দিবসেও নেতাজির জন্মদিবসের ছায়া। রবিবার তথা আজ ২৪ এ জানুয়ারি ভারতে ‘ন্যাশনাল গার্লচাইল্ড ডে’। এই দিনটিকে কেন্দ্র করেও নেতাজির জন্ম দিবসের নামকরণের বিষয়ের মতো জারি রইল মোদী(PM Modi)-মমতা (Mamata Banerjee) যুদ্ধ।

Advertisement

নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে নানা ভাবে ভেবেছে গোটা বিশ্ব। বিশেষ করে ভেবেছে সেই সব দেশ, যাদের সমাজ দীর্ঘদিন ধরে মেয়েরা অনেকটাই পিছিয়ে থেকেছে। তেমনই ভারত দেশ। মেয়েদের সেখানে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। এই দেশে প্রতিদিন মেয়েদের যে লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হতে হয়, সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেই ২৪ জানুয়ারি দিনটিকে ‘জাতীয় কন্যাসন্তান দিবস ‘ হিসেবে পালন করা হয়। ২০০৮ সালে ভারত সরকার এবং মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক এই দিনটিকে কেন্দ্র করেই লিঙ্গসমতা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

Advertisement

রবিবার তথা আজকের সকালের দিকে এই বিশেষ দিনের সূত্রে একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইট করে লেখেন,”জাতীয় কন্যাসন্তান দিবসে আমাদের দেশ কি বেটিদের সম্মান জানাচ্ছি, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের বহুবার প্রমাণ করেছেন। মেয়েদের ক্ষমতায়নে কেন্দ্রীয় সরকার একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে। এই সব প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ দেওয়া হয়।”

Advertisement

এইদিনের অনুষঙ্গে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে যারা মেয়েদের উন্নতির জন্য কাজ করেন, মোদী তাদেরও প্রশংসা করেন টুইট করে। রবিবারই মোদীর টুইটের কিছু পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন,”আজ জাতীয় কন্যাসন্তান দিবস। বাংলাত কন্যাশ্রী প্রকল্প সাহায্য করেছে মেয়েদের ক্ষমতায়নে। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ এই প্রকল্পটিকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রথম পুরস্কার দেয়।” তিনি আরও জানান, এই প্রকল্পের অধীনে থাকা স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ৬৯ লক্ষ মেয়ে আর্থিক সাহায্য পায়।

Recent Posts