বাংলার জন্য মমতার ২০ হাজার কোটি টাকার আবেদন যুক্তিহীন : দিলীপ ঘোষ

দিলীপ ঘোষ মমতাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, এই মুহূর্তে রাজনীতি না করে সকলকে একসাথে মিলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করা উচিত

Advertisement

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০,০০০ কোটি টাকা দাবি করাকে একেবারে যুক্তিহীন বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার একটি বক্তৃতায় দিলীপ ঘোষ বললেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রিভিউ বৈঠক তিনি করতে চাইলেন না, পাছে তাকে সমস্ত কিছুর রিপোর্ট না দিতে হয়। দিলীপ আরও বললেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে যে মিটিং ডাকা হয়েছিল তার সমস্ত রকম প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া শুরু হয়েছিল।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির অফিস থেকে যখন মিটিং ডাকা হয়েছে, তখন মিটিং এর সমস্ত অতিথিদের আমন্ত্রণ করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের রয়েছে। দিলিপের অভিযোগ, “যশ ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বড় প্রভাব পড়েছে উড়িষ্যায়। বাংলায় তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। যেখানে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী ভারত সরকারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোন সাহায্য গ্রহণ করতে চাইছেন না, সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ২০,০০০ কোটি টাকা দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করতে চাইলেন না। আসলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমস্ত কিছু ডিটেলস রিপোর্ট দিতে চান না।”

Advertisement

অন্যদিকে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ রেখেছিলেন যেন দীঘার সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের পুনর্নির্মাণ এবং সুন্দরবন অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্নির্মাণ, দুটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা করে ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও রিভিউ মিটিংয়ে অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন পূর্বনির্ধারিত কিছু কর্মসূচি ছিল বলেই তিনি ওই মিটিংয়ে যেতে পারেননি। যদিও তিনি পরে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন মিটিংয়ে থাকছেন? এই নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী থাকবেন বলেই এই মিটিং অ্যাটেন্ড করেননি মমতা।

Advertisement

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপদেশ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু শুধুমাত্র মিটিং নয়, বিধানসভায় অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন। তখন কি মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যাওয়া ছেড়ে দেবেন? এই মুহূর্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপরে রাজনৈতিক রঙ না লাগিয়ে, মানুষের ভালোর জন্য সকলকে একসাথে কাজ করা উচিত।”