‘এখন তো সবে শুরু’, রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা চিন্তিত মমতার

Advertisement

Advertisement

সকাল থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় আস্ফালন দেখানো শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার কাছাকাছি সময় ওড়িশা বালেশ্বরে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হয়েছে। আর তার সাথে সাথেই পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলগুলিতে ঝড়ের দাপট অনুভূত হচ্ছে। ঝড়ের সাথে ভরা কোটালের যুগলবন্দিতে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে সমুদ্রের জল গ্রামে ঢুকে এসেছে। একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তীব্র বেগে গ্রামগুলির দিকে ঢুকে আছে সমুদ্রের জল। এই পরিস্থিতিতে গতকাল রাতভর নবান্নে থেকে গোটা পরিস্থিতি নজর রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সকালে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, “অনেকেই ভাবছেন যে সব থেমে গিয়েছে। কিন্তু আসলে এখন কিছু শুরুই হয়নি। আগামী ৭-৮ ঘন্টা পরিস্থিতি নজরে রাখবো। কেউ নিরাপদ জায়গা থেকে সরবেন না। সম্পদ গেলে ফিরে আসবে। কিন্তু প্রাণ গেলে তা আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তাই আজকের দিনটা একটু কষ্ট করে নিন।” এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই হতাহতের কোনো খবর না পাওয়া গেল একাধিক অঞ্চলের নদী বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামগুলি প্লাবিত হচ্ছে। সেইসাথে তিনি আজ পূর্ণিমাতে ভরা কোটালের কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে কিছুক্ষণ পর সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস আরো তীব্র হতে পারে। সেই অনুযায়ী বলা যেতে পারে ল্যান্ডফলের সম্পূর্ণ ভয়াবহতা এখনও রাজ্যবাসী দেখেনি।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী আজ বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “গোসাবা, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একাধিক জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামের ভেতর জল ঢুকে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় এর জেরে। নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া ও কেন্দ্রপাড়া এলাকা জলে ভেসে গেছে। শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১ টি নদী বাঁধ ভেঙ্গে গেছে।” তবে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “পূর্ব মেদিনীপুরের ৮ লাখ মানুষসহ রাজ্যের মোট ১১ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।”

Advertisement

Recent Posts