“দুই চার জন বিধায়ক কিনে নিলেই তৃণমূলকে কেনা যায়না”, বিজেপিকে কটাক্ষ তৃণমূল সুপ্রিমোর

"বাংলার সংস্কৃতি ভাঙার চক্রান্ত চলছে।", বোলপুরের সভা থেকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)

Advertisement

Advertisement

আগের সপ্তাহে বোলপুরে বিশাল রোড শো করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তখন সেই বিষয়ে হুঙ্কার দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondal)। তিনি বলেছিলেন, এই রোড শো থেকেও ২ গুন পরিমাণ রোড শো করবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( Mamata Banerjee) আজকের এই রোড শো তে রবীন্দ্র সংস্কৃতি তুলে ধরবেন বলে স্পষ্ট ধারণা প্রকাশ পেয়েছে শাসক দনের ভাবনা থেকে। এই রোড শো তে রয়েছে বাউল শিল্পীরা। যেই বাউলের বাড়িতে আগের দিন মধ্যাহ্নভোজন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাকেও আজ দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে।

Advertisement

এইদিন সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তোপ দেগেছেন পদ্ম শিবিরের উদ্দেশ্যে। এই সভায় মুখ্যমন্ত্রী বার বার কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতাদের। তার মুখে কখনও উঠে এসেছে বহিরাগত তথ্য, কখনও তাকে দেখা গিয়েছে বোলপুরের মানুষদের সাবধান করতে। এইদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,”ধান্দাবাজ লোকেদের বিরুদ্ধে প্রাচীর গড়ে দাও। এই মাটি আমাদের সোনার বাংলা উপহার দিয়েছে। নতুন করে সোনার বাংলা করার কোনও প্রয়োজন নেই।” এর পরেই বিজেপির দিকে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

Advertisement

বিজেপির উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” সারা বাংলায় এক ভিন্ন রাজনীতির আমদানি হয়েছে। বিদ্বেষমূলক সেই রাজনীতি। তারা হিন্দু ধর্ম সম্পর্কেও জানেন না।” তপশিলি আদিবাসীদের আপন করে নিয়ে মমতা এইদিন বলেন,”আমার তপশিলি আদিবাসীদের অপমান করার ক্ষমতা তাদের নেই।”এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে,”ভোট আসলেই ওরা টাকা ছড়য়ে দিতে শুরু করে। প্রতি সপ্তাহে ওদের চাই ফাইভস্টার হোটেলের, অথচ সেই খাবারকে আদিবাসী খাবার বিলে চালানো হচ্ছে। বলছে নাকি পরিবর্তন করবে। আমি বলছি আগে টাচ করে দেখো। বাংলার সংস্কৃতিকে ভাঙার জন্য অনেক চক্রান্তই চলছে।”

Advertisement

এর পরেই তিনি সাবধান করেন গ্রাম এবং শহরের বাসিন্দাদের। সাবধান করে তৃণমূল দলনেত্রী বলেন,”গ্রাম এবং শহরের বাসিন্দারা সাবধান হন। দেখবেন ১০ জনের মধ্যে ওদের ২ জন বহিরাগত। তারা আপনাকে এসে ওদের কথা বোঝাবে। সাবধান হোন। কৃষকদের জন্য কেন আনা হয়েছে এই কালা বিল? ওরা এক মাস ধরে ঘরে বসে রয়েছে। টাকা দিয়ে কয়েকটা বিধায়ক কিনে নিলেই তৃণমূলকে কেনা যায়না। আমাদের দল একটা বটবৃক্ষ। তা ভাঙা এত সহজ নয়। এদের দলের পতাকা বহন করেন এজেন্সির লোকেরা।”