হুইল চেয়ারে বসেই গ্রামের রাস্তায় প্রচার সারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে ক্ষুদিরাম মোড় থেকে ঠাকুরচক পর্যন্ত রোড শো দিয়ে শুরু করলেন এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রচার পর্ব।

Advertisement

Advertisement

ভোটের বাদ্যি ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে। আগামী পয়লা এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র নন্দীগ্রামে নির্বাচন হওয়ার কথা। এই কেন্দ্রে এক দিকে আছেন শুভেন্দু অধিকারী অন্যদিকে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা থেকে।

Advertisement

নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে ক্ষুদিরাম মোড় থেকে ঠাকুরচক পর্যন্ত রোড শো দিয়ে শুরু করলেন এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রচার পর্ব। তবে তিনি এবারের মূল রাস্তা ছেড়ে একেবারে গ্রামের রাস্তায় ঢুকে পড়লেন তার হুইল চেয়ার নিয়েই। ঠাকুরচক এ পৌঁছে প্রথম জনসভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় গন্তব্য বয়াল এবং তার পরের গন্তব্য আমদাবাদ।

Advertisement

রবিবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে নাম না করে শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছেন, বাপ এবং ব্যাটার অনুমতি ছাড়া সেই সময় পুলিশ ঢুকতে পারত না। চটি পরা পুলিশ সেই সময় বাপ বেটার অনুমতি নিয়ে ঢুকেছিল নন্দীগ্রামে। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া কাঁথির সংসদ শিশির অধিকারী বললেন, “উনার মেমারি শর্ট। ভোটে জেতার জন্য পাগলামি শুরু করেছেন। আমরা বামের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম আর শুভেন্দু নেতৃত্ব দিয়েছিল।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ তারিখে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। সেই সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৪ জন সাধারণ মানুষ। সেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় চটি পরা পুলিশের কথা টেনে এনে সিপিএম সরকারকে আক্রমণ করে এসেছেন এতদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্য সমর্থন করতেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্যরকম। তাই এবারে যাদের কে পাশে নিয়ে বামেদের কটাক্ষ করতেন, এবারে সেই চটি পরা পুলিশের ইস্যু টেনে এনে বাবা এবং ছেলে কে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Recent Posts