‘শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে’, কালো পোশাক পড়ে প্রতিবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গতকাল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জন মারা গিয়েছিল

Advertisement

Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। গতকাল চতুর্থ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্থ দফা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো নিয়ে এবং তাতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল সুপ্রিমো আজ আজ রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি কালো পোশাক পড়ে। সেই সাথে তিনি বলেছেন, “শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে।”

Advertisement

গতকাল চতুর্থ দফা নির্বাচনের শীতলকুচি ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং তাতে মৃত্যু হয় ৪ জন গ্রামবাসীর। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ জানিয়েছে যে একটি বাচ্চাকে মারধর করা হয় এই ঘটনার প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিল গ্রামবাসী। তখনই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জমায়েতের মধ্যে গুলি চালিয়ে দেয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জওয়ানরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং তিনি উল্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি কালো পোশাক পড়ে ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।

Advertisement

সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামের মৃত পরিবারের সদস্যদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন। তিনি তখন বলেছেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন পায়ে গুলি করল না? সরাসরি বুকে গুলি করার কি দরকার ছিল? টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করতে পারত তো। বাহিনী আহত হওয়ার কোন ঘটনার খবর কেন পাওয়া যাচ্ছে না? কমিশন যা করছে সব নজিরবিহীন। শীতলকুচিতে আসলে গণহত্যা হয়েছে। নৃশংসভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মানুষকে মেরে দিয়েছে। এর আগে ভোটে এমন হত্যাকাণ্ড কখনো দেখা যায়নি।”

Advertisement

 

Recent Posts