নিমতায় বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা যাতে নিমতায় বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মী এবং তার মাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

Advertisement

নিমতায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে দিন প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করা শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তার সঙ্গে তিনি নিমতা কাণ্ডে এবারে মুখ খুললেন।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “যদি কোন বোন মারা যায়, কিভাবে কেন তা জানি না, তবে যেকোনো মৃত্যু দুঃখজনক। একটা মৃত্যু নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহো টুইটে বলছে দেখো বাঙাল কা কেয়া হাল হে, আমি বলছি, ইউপি কা কেয়া হাল হে? হাথ্রাস কা কেয়া হাল হে?” এছাড়াও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির হাতে খুন হচ্ছে।

Advertisement

এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করলেন। তিনি বললেন, “কমিশন রেখেছে আইনশৃঙ্খলা, এই কদিনে আমাদের তিন জন কর্মী খুন হয়েছে বিজেপির হাতে। বিজেপির একজন সুইসাইড করেছিল,কোচবিহারে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এতে দেখা গেছে আর তা নিয়ে মিছিল হল ১০ কিলোমিটার। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে কোন বিচার আমরা দেখতে পেলাম না।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিমতা বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যুর পর টুইট করেছিলেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। অমিত শাহ টুইট করে লিখেছিলেন, তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর নৃশংস হামলায় বাংলার মেয়ে শোভা মজুমদার এর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। হিংসামুক্ত ভবিষ্যৎ গঠন করতে মা বোনেদের জন্য সুরক্ষিত রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠা করতে বাংলা লড়াই করবে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের নির্ঘণ্ট ও ঘোষণা যাতে নিমতায় বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মী এবং তার মাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

ওই বৃদ্ধা বেশ কিছুদিন ধরে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং তিন দিন আগে বাড়িতে ফেরেন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ওই ঘটনার জেরে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আজকেই সকালে উত্তর দমদম বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী অর্চনা মজুমদার তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। সৌগত রায় দাবি করেছেন বৃদ্ধা অসুস্থ ছিলেন এবং এর পিছনে কোন রকম রাজনীতি নেই।