“সরকারের টাকায় হচ্ছে দলের প্রচার”, মমতার মাস্টারস্ট্রোক ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের সমালোচনায় দিলীপ

Advertisement

Advertisement

একুশে নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব ক্রমশ চরমে উঠবে। কোনো রাজনৈতিক দলই অন্য দলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চায় না। এরই মধ্যে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। জনোনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে বাঁকুড়া সফরে গিয়ে এই “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন। তবে শুরুর আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করলেন। তিনি গতকালের এক সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “তৃণমূলের দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প হল সরকারের টাকা খরচ করে দলের প্রচার করার একটা উপায় মাত্র।”

Advertisement

আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেবেন প্রশাসনের কর্মীরা। রাজ্যের যে সরকারের নির্দিষ্ট ১২ টি প্রকল্প চলছে তার থেকে যাতে না কেউ বঞ্চিত হয় তার খেয়াল রাখা হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে ৩ টা অব্দি রাজ্যের ব্লকে ব্লকে প্রশাসনের তরফে ক্যাম্প করা হবে। এই ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে তাদের অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরতে পারবেন। তাদের দাবি মত প্রশাসন তাদের কাজ তৎক্ষণাৎ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি সেই কাজ করার সুযোগ প্রশাসনের হাতে তখন না থাকে তবে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করে সেটাও করে দেওয়া হবে। রাজ্যজুড়ে ৪ পর্যায়ে ২০০০০ ক্যাম্প হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের মঞ্চ থেকে সরকারি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তারপর আবার সেই একই সরকারের প্রকল্প দলের মুখপাত্রকে দিয়ে সরকারিভাবে ঘোষণা করেন। আসলে পার্টির কাজ আর সরকারের কাজের মধ্যে কোন পার্থক্য রাখেন না তিনি। সেই অনুযায়ী সরকারি টাকা দিয়ে পার্টির কাজ সেরে নিচ্ছেন তিনি।”

Advertisement

দিলীপ ঘোষ আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালবেলা জানিয়েছেন, “এর আগেও সরকারের প্রকল্পকে পার্টির কাজ হিসাবে ব্যবহার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে এসব প্রকল্প থেকে বাস্তবে মানুষ কিছুই পায় না। শুধু মাঝে বসে তৃণমূল পার্টির লোকেরা কাটমানি পায়। ভোটের আগে এইসব প্রকল্প শাসকদলের পাবলিক স্ট্যান্ট মাত্র। নির্বাচনের আগে এইসব বড় বড় কথা বলছে। কিন্তু আদতে কিছুই হবে না।”

Recent Posts